কেরলের সোনা পাচার মামলায় দাউদ যোগ, আরও অস্বস্তিতে বিজয়নের বাম সরকার
কেরলের সোনা পাচারের মামলায় এবার দাউদ যোগের দাবি এনআইএ-র। এদিন আদালতে এক অভিযুক্তের জামিন সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন দাউদের যোগের কথা উল্লেখ করে অভিযুক্তকে জামিন না দেওয়ার আবেদন জানানো হয় তদন্তকারী দলের তরফে। বয়ানে বলা হয় যে আফ্রিকা হয়ে ডি-কোম্পানির সূত্রে ভারতে সোনা পাচারের ইঙ্গিত মিলেছে তদন্তে।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে দাউদ যোগ
জানা গিয়েছে এই মামলায় অভিযুক্ত রামিস নামক এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন স্বীকার করেছে যে সে আফ্রিকার তানজেনিয়া থেকে সোনা বিক্রি করেছে দুবাইতে। এদিকে সম্প্রতি দাউদের ডি-কোম্পানি পূর্ব আফ্রিকা এবং তানজেনিয়াতে হিরের খনি কেনার বিষয়ে কথাবার্তা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দাউদের হয়ে এই চুক্তি বাস্তবায়নের পিছনে রয়েছে এক দক্ষিণ ভারতীয়।
আফ্রিকায় নয়া আস্তানা দাউদের ব্যবসার
এদিকে কেরলের সোনা পাচারের মামলায় অন্য এক অভিযুক্ত শারাফউদ্দিনের ফোন রেকর্ড ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে সেও পূর্ব আফ্রিকায় যুক্ত রয়েছে। এমনকী রামিসের সঙ্গে তানজেনিয়াও গিয়েছে শারাফউদ্দিন। এই আবহে কেরলে সোনা পাচারের নেপথ্যে যে দাউদ যোগ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক তা বলাই বাহুল্য। এনআইএ-র অভিযোগ, এই মামলায় অভিযুক্তদের ভারতের বাইরে আশ্রয় দিচ্ছে ডি-কোম্পানি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ
এদিকে কয়েকদিন আগেই সোনা পাচার মামলায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শিবশঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাস্টমস বিভাগ। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ইডি ও এনআইএ-এর আধিকারিকরাও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এদিকে সোনা পাচারের নেপথ্যে পিএফআই যোগও উঠে এসেছে বলে খবর।
সোনা পাচারের মামলায় নাম জড়িয়েছে বহুজনের
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসের ৫ তারিখ সোনা পাচারের মামলায় আমেরিকান কনস্যুলেটের প্রাক্তন কর্মী পিএস সারিথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ব্যাগে করে প্রায় ৩০ কেজি সোনা নিয়ে আসে সে। দুবাই থেকে ওই ব্যক্তি সোনা নিয়ে তিরুবনন্তপুরামে আসে। তাকে জেরা করেই উঠে আসে একের পর এক ব্যক্তির নাম।
অস্বস্তিতে পিনারাই বিজয়ন
আমেরিকান কনস্যুলেটের আরও এক প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশের নামও উঠে আসে। তিনি একসময় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের হয়ে কাজ করতেন বলেও জানা যায়। এছাড়াও আরও অনেকের নাম উঠে আসে। শুধুমাত্র সোনা পাচার কাণ্ড নয়, এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একটি কনস্ট্রাকশনের বিষয়েও তার নাম জড়িয়ে পড়ে। তবে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শিবশঙ্করের নাম এই মামলায় জড়িয়ে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন পিনারাই বিজয়ন।
বিহার নির্বাচনের রঙ্গমঞ্চে এবার বাবা-মেয়ে দ্বৈরথ, শরদ যাদবকে ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ সুভাষিনীর