মাও অধ্যুষিত এলাকায় দিনে ৪০০ জিবি ইন্টারনেট খরচ হচ্ছে, পিছনে কীসের ইঙ্গিত
মাওবাদী অধ্যুসিত এলাকায় ব্যাপক হারে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।
দেশের ৯টি রাজ্যের নকশাল বা মাওবাদী অধ্যুসিত এলাকায় ব্যাপক হারে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে। এই এলাকাগুলিকে ২০১৬ সালে ইন্টারনেট সীমার ভিতরে আনা হয়েছে। শুধুমাত্র বিএসএনএলের ২জি ইন্টারনেট পরিষেবাই এখানে পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও দৈনিক ৪০০ জিবি করে ডেটা এই এলাকায় খরচ হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:তৈরি হচ্ছে এমন পুলিশ স্টেশন, যেখানে থাকবে না মানুষ, তবে পরিচালিত হবে মানুষের দ্বারাই]
বিএসএনএলের তরফে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। যদিও এত পরিমাণে ইন্টারনেট ডেটা খরচকে উন্নয়নের প্রতীক হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কিনা তা সময়ের অপেক্ষা।
২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মাও অধ্যুসিত রাজ্যগুলির এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়িয়ে তুলতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে কোনও মোবাইল অপারেটর সংস্থা ওই এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসাতে রাজি হয়নি।
পরে ২০১৪ সালে তা ফের মন্ত্রিসভায় বর্ধিত মূল্যের কাঠামো নিয়ে পাশ হয়। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশের মাও অধ্যুসিত এলাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারপরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সৌরবিদ্যুতে চলা ২১৯৯টি মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে।
সবমিলিয়ে মোট ২০ হাজার গ্রামে এই মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিচ্ছে বিএসএনএল। বিস্ময়ের বিষয় এটাই যে আদিবাসী অধ্যুসিত এলাকায় যেখানে মানুষের কাছে কথা বলার মোবাইল ছিল না সেখানে এত ইন্টারনেট ডেটা কীভাবে খরচ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: দেশে কি মাওবাদী প্রভাব কমছে, কী বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট]