'এনপিআর-র তথ্য অপব্যবহার হতে পারে', আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের
'এনপিআর-র তথ্য অপব্যবহার হতে পারে', আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের
সিএএ ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আরও নতুন আবেদন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনে অভিযোগ আনা হয় যে এনপিআর-এর থেকে সংগ্রহ করা তথ্য অপব্যবহার করতে পারে সরকার। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারীর অভিযোগ
আবেদনকারীর কথায়, 'নাগরিকত্ব (নাগরিকদের নিবন্ধকরণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র) বিধিমালা, ২০০৩-এর অধীনে যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই আইনে তথ্যের অপব্যবহার থেকে কোনও সুরক্ষার গ্যারান্টি নেই। আধার বা আদমশুমারির সংগৃহীত তথ্যের তুলনায় এনপিআর-এ সংগৃহীত তথ্য পৃথক। এর মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের উপর অনুমোদনহীন নজরদারিও চালাতে পারে সরকার।'
সিএএ-র বিরুদ্ধে ১৪৪ টি পিটিশন শুনেছে সুপ্রিমকোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে ১৪৪ টি পিটিশন শুনেছে। প্রতিদিন এই সংক্রান্ত আরও আবেদন জমা পড়চ্ছে শীর্ষ আদালতে। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে কেন্দ্রের থেকে এই বিষয়ে শোনার আগে তারা এনপিআর-এর উপর কোনও রকম স্থগিতাদেশ জারি করবে না। সরকারের মত জানতে তাই তাদেরকে নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্র। চার সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে। তারপরই এই মামলার শুনানি শুরু করবে আদালত। পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি চলবে।
আজ রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা
এদিকে কেরল, পাঞ্জাবের পর রাজস্থানও বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ করে। আজ সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে বাংলার বিধানসভাতেও। ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। আর এর সাথেই আইনে পরিণত হয় সেটি। তবে এরই মাঝে এই সিএএ তাঁরা মানবেন না বলে জানিয়েছিলেন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। কেরলের পিনরাই বিজয়ন ও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দাবি করেছেন যে তারা তাদের রাজ্যে সিএএ লাগু হতে দেবে না।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সিএএ বিরোধী আবেদন কেরলের
সিএএ বিরোধী রেজোলইউশন পাশ করেই রাজ্যগুলি থেমে থাকছে না। সিএএকে বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন আখ্যা দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেরল ও ছত্তিসগড় সরকার। নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করে কেরল সরকার। কেরল প্রথম রাজ্য যারা এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পরেই এই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে জমা পড়েছিল ৬০টি পৃথক আবেদন। সেই সংখ্যা এখন ছুঁয়েছে ১৪৪-এ। তাছাড়া এনপিআর-র বিরুদ্ধেও জমা পড়ে আবেদন। সেই আবেদনগুলির ভিত্তিতেই আজ এক যৌথ শুনানি হয় সুপ্রিমকোর্টে। তবে এর আগে ১৮ ডিসেম্বরের এক শুনানিতে সিএএ-র উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকে শীর্ষ আদালত। আর আজ এনপিআর প্রক্রিয়ার উপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকে শীর্ষ আদালত।