পর্নো ভিডিওর ব্যবসা অতীত, উত্তরপ্রদেশে ৫০-১০০ টাকায় রমরমিয়ে বিকোচ্ছে 'লাইভ' ধর্ষণের ভিডিও
বালকেশ্বর, ৪ আগস্ট : পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগাতেই গজিয়ে উঠেছে নয়া 'বেআইনি' ব্যবসা। দোকান থেকে বিক্রি হচ্ছে ধর্ষণের ভিডিও। প্রতিদিন গড়ে শ'য়ে শ'য়ে বিক্রি হচ্ছে 'লাইভ রেপ ভিডিও'। কতটা এক্সক্লুসিভ ভিডিওর 'কনটেন্ট' তার উপর নির্ধারন হচ্ছে ভিডিওর দাম।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিটের এই ধরনের ভিডিও ক্লিপিংয়ের দাম ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার ভিতরেই।
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা। তবে খদ্দের ধরে আনা থেকে ভিডিওর দর কষাকষি সবই চলে লুকিয়ে চুরিয়ে। শুধু বিশ্বস্ত পুরনো খদ্দের বা তাদের সুপারিশ করা নয়া খদ্দেরের সঙ্গেই কথা বলেন এজেন্টরা। এই এজেন্টরাই খদ্দেরের স্মার্টফোনে ভিডিওগুলি সরাসরি ডাউনলোড করে দেন, কিংবা পেন ড্রাইভে দিয়ে দেন।
এই ফুটেজগুলি আসা কোথা থেকে? পুলিশের একাংশের দাবি, অনেকসময় ধর্ষণ করার সময় ধর্ষকরাই মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনাটা শ্যুট করে রাখে যাতে পরে ধর্ষিতাকে ব্ল্যাকমেল করতে কাজে লাগে। পুলিশের কাছে গেলেই এই ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। কিংবা আবার যাতে ওই মহিলার সঙ্গে যৌন সম্ভোগ করা যায় তার রাস্তা খোলা রাখতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ফুটেজগুলি শ্যুট করা হয়।
এজেন্টদের কিছু খাস লোক থাকে, যারা সোস্যাল মিডিয়া, টুইটার, টাম্বলার, ফেসবুক থেকে এই ধরণের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এনে তাদের কাছে বিক্রি করে দেয় টাকার বিনিময়ে। অনেকসময় টাকার লোভে বা প্রতিশোধ নিতেই ধর্ষক নিজেও এই ফুটেজ এদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর ভিডিও ফুটেজের ছবির গুণগত মান, ফুটেজের দৈর্ঘ্য ও অন্যান্য একাধিক পরিমাপে বিচার করার পর দাম ধার্য করা হয়। এইভাবেই নয়া বেআইনি ব্যবসা ক্রমেঅ শিকড় গাঁড়ছে উত্তরপ্রদেশে।
যদিও পুলিশসূত্রের একাংশের কথায়, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অনেক সময় এইধরণের ভিডিও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এটা একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। চাহিদা রয়েছে বলেই বিক্রি হচ্ছে। এই ধরণের সমস্যা একেবারে মূল থেকে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।