মোদী সরকারের পরিচ্ছন্ন শহর প্রতিযোগিতা! অংশ নিয়েই 'গোল' খেল মমতার রাজ্যের একাধিক শহর
দেশের মধ্যে অপরিষ্কারে প্রথম ২৫ টি শহরের মধ্যে ১৯টিই পশ্চিমবঙ্গের। দেশের পাঁচশোটি শহরের এই তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে গুজরাতের ভদ্রেশ্বর।
দেশের মধ্যে অপরিষ্কারে প্রথম ২৫ টি শহরের মধ্যে ১৯টিই পশ্চিমবঙ্গের। দেশের পাঁচশোটি শহরের এই তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে গুজরাতের ভদ্রেশ্বর। জনসংখ্যা একলক্ষের ওপর এমন শহরগুলিকে ধরে সমীক্ষা চালিয়েছিল কেন্দ্রের আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলির মধ্যে রয়েছে, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, শ্রীরামপুর, মধ্যমগ্রাম, উত্তর ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া। বর্জ্য সংগ্রহ, কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ-সহ একাধিক বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে তিনটি করে শহর এই তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জনসংখ্যার নিরিখে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে এবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ৪২০৩ টি পুর এলাকার ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এবারই প্রথম এই সমীক্ষায় স্থান পেয়েছিল সেনা পরিচালিক ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলিও।
তবে শুধু অপরিষ্কার শহরের তালিকাতেই নয়, অপরিষ্কার রাজ্যের তালিকাতেও স্থান পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সেই তালিকায় রয়েছে নাগাল্যান্ড, পণ্ডিচেরী, ত্রিপুরাও।
পরিষ্কার রাজ্যগুলির তালিকায় একেবারে প্রথমে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এরপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়। শনিবার ইন্দোরে এই তালিকা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শহরগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে ইন্দোর। পরপর দুইবছর ইন্দোর নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। এরপরেই রয়েছে ভোপাল, চণ্ডীগড়। সবথেকে পরিষ্কার রাজ্য ও শহরকে পুরস্কৃতও করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫০০ শহরের তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারানসী রয়েছে ২৯ তম স্থানে। গতবছর যা ছি,ল ৩২ তম স্থানে।
কেন্দ্রের আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত দুবছর অর্থাৎ ২০১৬ ও ২০১৭-তে পশ্চিমবঙ্গ এই প্রতিযোগিতাতেই অংশ নেয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি এই ধরনের সমীক্ষা নিয়ে কিছুই জানেন না। তিনি এই সমীক্ষার রিপোর্টও দেখেননি। সেইজন্য তিনি সমীক্ষা নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।