কর ফাঁকি দিলে বাড়বে বিপদ! বিশেষ নজরদারির ক্ষেত্রে আয়কর দফতরের হাত শক্ত করছে অর্থমন্ত্রক
করফাঁকি রুখতে আরও কোমর বেঁধে মাঠে নামছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে আয়কর দফতর কর্তৃক আনা প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত মিলিছে অর্থমন্ত্রকের তরফে। ইতিমধ্যেই করদাতাদের বিভিন্ন খরচের উপরেও এবার নজর রাখার প্রস্তাব আয়কর দফতরকে দিয়েছে কেন্দ্র। ইলেকট্রিক বিল থেকে হোটেল খরচ, সোনা কেনা থেকে স্বাস্থ্য বিমা সবেতেই এখন থেকে নজর থাকবে আয়কর দফতরের।

কর ফাঁকি রুখতে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে অর্থমন্ত্রক ও আয়কর দফতর
কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। অনেকেই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করদাতাদের অযথা হয়রানির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। এদিকে করোনা আবহে তীব্র আর্থিক মন্দায় ডুবে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কর ফাঁকি রুখতে একাধিক কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও এসেছে অর্থমন্ত্রকের তরফে। জানা গিয়েছে এবার থেকে ইলেকট্রিক বিল, সোনা কেনা, হোটেল খরচ, স্বাস্থ্য বীমা সহ আরো সমস্ত বিষয়গুলি দিকে নজর রাখবে আয়কর দপ্তর।

১১টি ক্ষেত্রে খরচের উপরে বিশেষ নজরদারি
সূত্রের খবর, মোট ১১টি ক্ষেত্রে নাগরিকদের খরচের উপরে নজর রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। কোন ক্ষেত্রে কত খরচ হলে আয়কর দফতর নজর রাখবে তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ যাদের ১ লক্ষ টাকার বেশি তাদের উপরে নজরদারির পাশাপাশি ২০ হাজার টাকার হোটেল বিল এলেও আপনি থাকবেন আয়কক দফতরের ব়্যাডারে। পাশাপাশি ১ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না, ছবি, মার্বেল ইত্যাদি কেনা এমনকি বিদেশ ভ্রমণ বা দেশের মধ্যে ভ্রমণে বিমানের বিজনেস ক্লাসে সফরের ক্ষেত্রেও নজর রাখবে আয়কর দফতর।

গোটা দেশে আয়কর মেটান মাত্র দেড় কোটি মানুষ
এদিকে ১৩০ কোটির দেশে বর্তমানে মাত্র দেড় কোটি মানুষ আয়কর মেটান। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কারা কর দিচ্ছেন না, ঠিক ধরতে পারছে না সরকার। যে কারণে স্বেচ্ছায় কর দিতে বলেও কর আদায়ে ফাঁক না-রাখা ও তার পরিসর বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে করোনা মহামারীর ফলে অর্থনৈতিকে চাঙ্গা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জন্য বর্তমানে ‘টেক্সপেয়ারস চার্টার', ‘ফেসলেস আপিল' এবং ‘ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট' এর কথা ঘোষণাও করেছেন তিনি।

হয়রানির শিকার হতে পারেন সৎ করদাতারা ?
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "অনেকেই বিমানের বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করেন, প্রায়ই বিদেশ ভ্রমণের স্বাদ নেন, লক্ষ লক্ষ টাকা হোটেলের পিছনে খরচ করেন, বাচ্চাদের ব্যয়বহুল স্কুলে পাঠান কিন্তু আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা দাবি করেন তাদের আয় বছরে আড়াই লক্ষ টাকারও কম। তাদেরকে ধরতে এই ব্যবস্থা খুবই কার্যকরী হবে।" আয়করের আওতাভুক্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতেই এই ব্যবস্থার ব্যবহার করা হবে যদিও সৎ করদাতারা এর জন্য হয়রানির শিকার হবেন না বলেই ওই সরকারি আধিকারিকের মত।
বিজেপি-কংগ্রেস কাদা ছোড়াছুড়ির মাঝেই এবার রাজনৈতিক ময়দানে ফেসবুক! কী বলল মার্কের সংস্থা?