বেঁচে থাকতে অযোধ্যা রায় দেখতে পেরে খুশি, জানালেন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী দলিত নেতা
বাবরি মসজিদের ধ্বংসের তিন বছর আগে ১৯৮৯ সালে প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দলিত নেতা কামেশ্বর চৌপাল। তখন তাঁর বয়স ৩৫।
বাবরি মসজিদের ধ্বংসের তিন বছর আগে ১৯৮৯ সালে প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দলিত নেতা কামেশ্বর চৌপাল। তখন তাঁর বয়স ৩৫। তখনও যুবক থেকে ব্যক্তি হয়ে উঠতে এক বছর। সেই ঘটনার ৩০ বছর পর রাম মন্দির নির্মাণের উপর আরও কোনও বিবাদ রইল না। শতাব্দী প্রাচীণ এই বিবাদ মামলায় শনিবার রায় দিয়ে আদালত জানিয়ে দেয় যে বিতর্কিত জমি পাবেন রামলালা। সেখানে তৈরি হবে রামমন্দির।
এই রায় ঘোষণার পর স্বাভাবিক ভআবেই খুশি চৌপাল। তবে তিনি মনে করেন ৩০ বছর দেরি হয়ে গেল রায় আসতে। তিনি বলেন, "মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়া নিয়ে আমাদের কোনও অশুবিধা নেই। আমাদের শুধু রামলালা বিরাজমানের জমি নিয়ে আগ্রহ। আমি বেঁচে থাকাকালীন এই রায় বেরোনোয় খুশি।"
১৯৮৯ সালের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "আমরা বিহার থেকে আসা লোকদের জন্য ধার্য করা একটি তাবুতে শুয়েছিলাম। শঙ্করাচার্যরা এবং ধর্ম সংসদের সবাই সেখানে ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পিছি পরা শ্রেণী থেকে একজনকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘল আমাকে এই দায়িত্ব দেন।"
সেই সময়ের পর থেকে রাম মন্দির সম্পর্কিত প্রতিটি আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন চৌপাল। তবে বাবরি মসজিদ ভাঙাতে তাঁর কোনও যোগ ছিল না বলে দাবি করেন বর্তমানে বিজেপি নেতা চৌপাল।