গর্ভবতী স্ত্রীকে ফেরত চেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতেই 'দলিত' জামাইয়ের সঙ্গে নারকীয়কাণ্ড! কী ঘটেছে
স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। কারণ গুজরাতের হরেশ সোলাঙ্কির স্ত্রী ছিলেন গর্ভবর্তী। আমেদাবাদের বারমোর গ্রামের ২৫ বছরের হরেশের পরিচিতি ছিল দলিত হিসাবে।
স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। কারণ গুজরাতের হরেশ সোলাঙ্কির স্ত্রী ছিলেন গর্ভবর্তী। আমেদাবাদের বারমোর গ্রামের ২৫ বছরের হরেশের পরিচিতি ছিল দলিত হিসাবে। আর তাঁর শ্বশুরবাড়ি উচ্চবংশের দরবার সম্প্রদায়ের মর্যাদা নিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত । সেই জাত্যাভিমান থেকেই হরেশের কাছে মেয়েক পাঠাতে চায়নি হরেশের শ্বশুরবাড়ি। আর গর্ভবতী স্ত্রীকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার আর্জি নিয়ে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছতেই হরেশের সঙ্গে ঘটে গেল নারকীয় কাণ্ড।
শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বোঝাতে গিয়েছিলেন হরেশ, যেন তাঁর সঙ্গে যেতে দেওয়া হয় তাঁর স্ত্রী উর্মিলাবেনকে। কিন্তু দরবার সম্প্রদায়ভুক্ত হরেশের শ্বসুরবাড়ি নিজেদের জেদে অনড় ছিল। শ্বশুরবাড়ির তরফে কোনও সংঘাত আসতে পারে আঁচ করে গুজরাতে মহিলা হেল্পলাইন '১৮১ অভিযান' এর মহিলা সদস্যদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠে পা রাকেখন হরিশ। তবে শ্বশুবাড়ির লোকজন হরিশকে ঘিরে ধরে যখন মারধর শুরু করে ,তখন সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান '১৮১ অভিযান' এর মহিলা সদস্যরা। আর শ্বশুর বাড়ির মারধরের জেরে সেখানেই প্রাণ হারান হরিশ।
এই মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। যখন উর্মিলা ও হরেশ একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। জাত পাতের ভেদাভেদ ভুলে চলছিল এই প্রেম। সেই থেকে বিয়ে। বাড়ির অমতেই হরেশকে বিয়ে করেন উর্মিলা। এরপর উর্মিলাকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁর আত্মীয়রা। জানা যায় উর্মিলা গর্ভবতী। এদিকে, বারবার উর্মিলাকে চেয়ে হরেশ দ্বারস্থ হন শ্বশুরবাড়ির। আর শেষবার যখন স্ত্রীকে পেতে আর্জি নিয়ে তিনি যান শ্বশুরের কাছে, তখন জোটে মৃত্যু।