রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় আমন্ত্রণ নেই দলিতদের, নিরাশ না হয়ে কী উপদেশ দিলেন মায়াবতী
রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় আমন্ত্রণ নেই দলিতদের, নিরাশ না হয়ে কী উপদেশ দিলেন মায়াবতী
৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি দলিতদের, শুক্রবার এমনই অভিযোগ করলেন বসপা প্রধান মায়াবতী। দলিত সাধুর এক অভিযোগেক ভিত্তিতে মায়াবতী জানিয়েছেন যে এটা আরও ভালো হত যদি ৫ অগাস্ট মেগা রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় ২০০ জন পুরোহিতদের সঙ্গে নিপীড়িত সম্প্রদায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হত।
মায়াবতীর উপদেশ
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিওয়ালির মতো প্রস্তুতি চলছে অযোধ্যাতে। মায়াবতী একগুচ্ছ টুইটে জানিয়েছেন যে, স্বামী কানহাইয়া প্রভুনন্দন গিরির আমন্ত্রণটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারত এবং বর্ণহীন সমাজ গঠনের সাংবিধানিক নক্সার সঙ্গে মিলিত হত। তবে বসপা প্রধান দলিত সম্প্রদায়কে এই ফাঁদে পড়তে নিষেধ করেছেন এবং উন্নতির জন্য আরও কাজ করার উপদেশ দিয়েছেন।
দলিতরা উন্নতির জন্য কাজ করুক
মায়াবতী বলেন, ‘এই বিতর্কগুলিতে না জড়িয়ে বরং বর্ণবাদী অবহেলা, অবজ্ঞাপূর্ণতা এবং অবিচারের শিকার দলিত সমাজকে তাদের মুক্তির জন্য শ্রম / কর্মের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রেও তাঁদের উচিত তাদের মসিহা পরম পূজ্য বাবা সাহেব ডাঃ ভীমরাও আম্বেদকরের পথ অনুসরণ করা। বসপার এটাই উপদেশ।'
অভিযোগ তোলেন স্বামী কানহাইয়া প্রভানন্দন গিরি
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জুনা আখড়ার একমাত্র দলিত মহামানাদলেশ্বর স্বামী কানহাইয়া প্রভানন্দন গিরি, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের ওপর নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কারণ ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর কর সেবকদের হাতে ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদ জমিতে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উচ্চতলার পুরোহিতদের এই ভূমি পুজোয় আমন্ত্রণ করা হয়েছে অথচ তিনি দলিত বলে এই আমন্ত্রণ পাননি, জানান তিনি। কানহাইয়া প্রভানন্দন এও অভিযোগ করেছেন যে রাম মন্দিরের নির্মাণকাজে দলিতদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ তদারকির জন্য গঠিত ট্রাস্টে কোনও দলিতকে সদস্য করা হয়নি বলে তিনি এটা অনুমান করেছেন। ওই সাধু জানিয়েছেন যে, রামায়ণে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, রাম নিপীড়িত ও নীচু জনগোষ্ঠীর উন্নতি ও কল্যাণে কাজ করেছিলেন।
প্রথম দলিত মহামানাদলেশ্বর
আজমগড়ের বাসিন্দা কানহাইয়া প্রভানন্দন ২০১৯ সালে কুম্ভের সময় প্রয়াগরাজের একটি অনুষ্ঠানে মহামানাদলেশ্বর হয়েছিলেন। তিনি অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ, দেশের শীর্ষ সংগঠন যা সমস্ত আখড়ার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, দলিত সম্প্রদায়ের একমাত্র মহামানাদলেশ্বর। যদিও তাঁর অভিযোগ নস্যাৎ করে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের মহন্ত নরেন্দ্র গিরি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যখন সাধুতে রূপান্তরিত হন তিনি তাঁর জাতিগত পরিচয় ভুলে যান। আখড়া পরিষদের কাছে সব সাধুই সমান।
বিজেপি একুশের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে! সাংগঠনিক বৈঠকে বুথ সংগঠন নিয়ে ভাবনা