ডেইলিহান্ট 'ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন' জনমত সমীক্ষার ফলাফল
ভারতের আস্থা মোদী-তেই। সৎ-শক্তিশালী এবং একজন দৃঢ় নেতা হিসাবেই তাঁকে মানছে দেশ। এমনই তথ্য উঠে এল ডেইলিহান্টের সমীক্ষায়।
ভারতের আস্থা মোদী-তেই। সৎ-শক্তিশালী এবং একজন দৃঢ় নেতা হিসাবেই তাঁকে মানছে দেশ। এমনই তথ্য উঠে এল ডেইলিহান্টের সমীক্ষায়। ডেইলিহান্ট, নিয়েলসন ইন্ডিয়া একসঙ্গে মিলে আয়োজন করেছিল ভারতের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল রাজনৈতিক সমীক্ষা: 'ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন', যাতে ৫০ লক্ষ মতামত জমা পড়়ে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে ৫০% মানুষই মনে করে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে দেশকে আরও উন্নত ভবিষ্যৎ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
ডেইলিহান্ট দেশের #১ নম্বর খবর এবং আঞ্চলিক ভাষার কনটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন, এর বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া 'ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন' রাজনৈতিক সমীক্ষা যাতে ডেইলিহান্ট 'নলেজ পার্টনার' হিসাবে নিয়েলসন ইন্ডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছে, বৃহস্পতিবার তার ফল ঘোষণা করেছে। এই সমীক্ষাকে সুন্দরভাবে বলা হচ্ছে যে এটা একটা খুবই সঠিক স্বাধীন রাজনৈতিক ডিজিটাল সমীক্ষা, যা এর আগে দেশের বুকে কখনও অনুষ্ঠিত হয়নি, ভারত এবং বিদেশ থেকে ৫৪ লক্ষ মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন।
ভোটদানের পদ্ধতি-
১। ডেইলিহান্ট ও নিয়েলসন ইন্ডিয়া একসঙ্গে মিলে এই সমীক্ষাটি তৈরি করে এবং তার নক্সা বানায়, যা ডেইলিহান্ট-এর প্ল্য়াটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছিল। ইংরাজি, হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়া ও মালায়ালাম- এমন ১০টি ভাষায় এই জনমত সমীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২। ডেইলিহান্ট তথ্য সংগ্রহ করে তা নিয়েলসন এপিআই-এর মাধ্যমে নিয়েলসনকে সরবরাহ করে।
৩। এই ধরনের জনমত সমীক্ষা অনুষ্ঠিত করার জন্য আন্তর্জাতিকমানের যে নিয়ম ও মান-কে গুরুত্ব দেওয়া হয় নিয়েলসন ইন্ডিয়া তথ্য সংগ্রহ এবং তার রিপোর্টিং-এ সেই বিষয়গুলিকেই অনুসরণ করেছে।
৪। এই জনমত সমীক্ষায় পুরুষ-মহিলা নির্বাশেষে বিভিন্ন বয়সের (১৮-২৪, ২৫-৩৪ এবং ৩৫+ বছর) মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
৫। 'ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন'-এ অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল মাল্টিপল চয়েস টাইপের ১০টি প্রশ্ন।
আলোকপাত। ডেইলিহান্ট ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন সমীক্ষা
--------------------------------
২০১৪
সালে
নরেন্দ্র
মোদী
যখন
ক্ষমতায়
এসেছিলেন
সেই
সময়ের
তুলনায়
এবার
৬৪%
মতামতদানকারী
তাঁর
প্রতি
তাদের
অতিরিক্ত
বা
সমপর্যায়ের
আস্থা
দেখিয়েছেন
এবং
গত
চার
বছরে
তাঁর
নেতৃত্বে
পরিপূর্ণ
আস্থা
প্রকাশ
করেছেন।
৫০%-এর বেশি মানুষ মনে করছেন নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে দেশকে আরও উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেবেন।
জনমত সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফোন-এর ব্যবহার ইঙ্গিত দিয়েছে যে কোন ধরনের অর্থিক অবস্থাসম্পন্নরা এতে মত দান করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে বেশি দামি ফোন ব্যবহারকারীদের তুলনায় কমদামি এবং মাঝারি-দামের ফোন ব্যবহারকারীদের ৯০% শতাংশ মানুষই মোদীর সমর্থক হিসাবে উঠে এসেছেন।
'আস্থা' ও 'বিশ্বাস'-কে সামনে রেখে একটা সচেতন বিশ্লেষণ পেতে উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম এবং পূর্ব-ভারতে নিম্নলিখিত আকর্ষণীয় বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছিল-
দীর্ঘদিন ধরে দেশের উপরে গেড়ে বসা দুর্নীতিকে উৎপাটন করতে ৬০% মানুষ কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ফেলে দেওয়া হল তথ্য এই ইস্য়ুতে আপ-এর অরবিন্দ কেজরিওয়াল পিছনে ফেলেছেন রাহুল গান্ধীকে।
জাতীয় সংকটের সময় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীকে সেরা পছন্দের নেতা বলে মানছেন ৬২% মানুষ। সেখানে এই ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর উপরে ১৭%, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপরে ৮%, অখিলেশ যাদবে ৩% এবং মায়াবতীর উপরে ২% মানুষ আস্থা পোষণ করেছেন।
ভারতের সর্ববহৎ এবং সবচেয়ে ফলদায়ক এই জনমত সমীক্ষায় দিল্লিতে আয়োজিত 'ভারত বিয়ন্ড ইন্ডিয়া' শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলনের অবসরে ডেইলিহান্টের প্রেসিডেন্ট উমঙ্গ বেদী বলেন, 'ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন, জনমত সমীক্ষা সত্যিকারেই আমাদের লক্ষকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে যার মধ্যে দিয়ে আমরা সত্যিকারের ভারতের মানুষদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম খাড়া করতে পেরেছি। ভারত তার কন্ঠকে বিপুলভাবে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। আমরা একটা উন্নত, গভীর এবং অর্থবহক অন্তর্দশনকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছি। যার মধ্যে দিয়ে আমরা জনতাত্ত্বিক, সামাজিক ধ্যানধারণা সমন্বিত, স্থান, প্রদেশ এবং ভাষা নিদিষ্ট-এর আধারে সমস্ত তথ্য-কে বিশ্লেষণ পেতে সমর্থ হয়েছি। এর ফলে বর্তমান সময়ে ভারতীয় জনমানসের সেন্টিমেন্টটাকে সঠিকভাবে অনুধাবন করা গিয়েছে। ট্রাস্ট অফ দ্য নেশন- ভাবনা ডেইলিহান্টের মিশনের সঙ্গে পুরেপুরি সম্পৃক্ত হয়ে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেখানে কোটি কোটি মানুষ আবিষ্কার,গ্রহণ এবং সামাজিকতার মতো বিষয়গুলিতে নিজেদেরকে শক্তিশালী করছে। যেখানে শেয়ার হওয়া কনটেন্টের মাধ্যমে তাদের সচেতনতা, উৎকর্ষতা এবং কোনও কিছুর গ্রহণযোগ্যতাকে অনুধাবন করতে পারছে। আমাদের রিসার্চ সায়েন্স পার্টনার নিয়েলসন ইন্ডিয়া এই জনমত সমীক্ষাকে এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যেভাবে সহায়তা দিয়েছে তাতে সত্যিকারেই আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।'
'নিয়েলসন হল ডেটা-অ্যানালিটিকস-এ বিশ্বের একটি অগ্রণী সংস্থা, যাদের কাজই হল বিশ্বের বাজার এবং কনজিউমার সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে একটা পরিপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য ছবিকে প্রতিষ্ঠিত করা। এমন একটা জনমত সমীক্ষায় অংশ নিতে পেরে আমরা স্বভাবতই খুশি। যেখানে আমরা আমাদের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড সায়েন্টিফিক মেথডলজি ব্যবহার করেছি। এতে আমরা ডেইলিহান্টের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে সুন্দরভাবে যেমন বিশ্লেষণ করতে পেরেছি তেমনি একটা জিনিসের চর্চায় তার নকসাটাকেও সঠিকভাবে প্রয়োগ করা গিয়েছে।', জানিয়েছেন নিয়েলসন দক্ষিণ-এশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রসুন বসু।