দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তবে ১৪টি রাজ্য দেশকে একটু স্বস্তি এনে দিল
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগের সৃষ্টি করলেও কিছু এমন রাজ্য রয়েছে যেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে যে, কমপক্ষে ১৪টি রাজ্যে বর্তমানে প্রত্যেকটিতে পাঁচ হাজারের কম সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছে।
১৪টি রাজ্য
যে ১৪টি রাজ্যে করোনা সক্রিয় ৫ হাজারের কম সেগুলি হল, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, চণ্ডীগড়, পুদুচেরি, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, লাদাখ, সিকিম, মিজোরাম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি ও লাক্ষাদ্বীপ।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী
অন্যদিকে দেশের সুস্থতার হারে ৭৮ শতাংশ অবদান রেখেছে দেশের ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে দশ লক্ষের বেশি মানু্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরপরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, যেখার সুস্থতার সংখ্যা অন্তত ৬ লক্ষ। বুধবার দেশে দৈনিক নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৮৬,৭৬৪টি, যা মোট করোনা সংক্রমণকে ৬,৩১০,২৪১•এ নিয়ে গিয়েছে। বুধবার দৈনিক নতুন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১,১৭৯। করোনা ভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যু হয় দক্ষিণ ভারতে এবং ১২ মার্চ থেকে মৃত্যুর হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পেতে তা ৮৩,৭২২ জনে এসে পৌঁছেছে।
দৈনিক মৃত্যু বেশি মহারাষ্ট্রে
বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুনভাবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩৬ শতাংশ, এ রাজ্যে এদিন ৪৩০ জনের মৃত্যুর খবর রিপোর্ট হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলিতেও মৃত্যু সংখ্যা সর্বোচ্চ। কর্নাটক, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
মহামারি বিশেষজ্ঞের মতে
মহামারি বিশেষজ্ঞদের কথায়, যে সব রাজ্যে করোনা কেসের বোঝা সর্বোচ্চ তারা হয়ত কোভিড-১৯ তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে, যা অস্বীকার যোগ্য নয়। মহামারি বিশেষজ্ঞ ডঃ গিরিধর বাবু বলেন, ‘কিছু রাজ্যে অল্প সংখ্যক করোনা কেস দেখা যাচ্ছে। কারণ সেই সব রাজ্যে পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট হচ্ছে না বা তাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অতটা ভালো নয়। কখন কখনও করোনা প্রকোপের সময় তথ্যের নজরদারির বিষয়টি গ্রহণ করেত সময় নেয়। যদিও এটা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।'