লাগাতার দৈনিক সংক্রমণ তিন হাজারের উপরে! 'আশঙ্কা' দেখছেন চিকিৎসকদের একাংশ
গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে করোনায় ৩,৬৮৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এক ধাক্কায় প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়াতে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হল- ৪,৩০,৭৫,৮৬৪। এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
ভারতে নতুন করে বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ! গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে করোনায় ৩,৬৮৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এক ধাক্কায় প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়াতে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হল- ৪,৩০,৭৫,৮৬৪। এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
আজ শনিবার সকালে প্রত্যেকদিনের মতোই করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে এহেন আক্রান্তের সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি দেশে মৃতের সংখ্যাও জানানো হয়েছে। তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এরপরেই মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,২৩,৮০৩।
তবে মৃতের সংখ্যা দেশে নিয়ন্ত্রণে থাকলে সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। ফলে এখন থেকে ফের একবার সাবধান হওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
তথ্য বলছে গত তিনদিন ধরে লাগাতার দৈনিক সংক্রমণ তিন হাজারের উপরে রয়েছে। আর তা থাকায় এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৮ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্রমশ দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮০০ এরও বেশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে খবর।
তবে যে পাঁচ রাজ্যকে ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে সেগুলির মধ্যে দিল্লি, হরিয়ানা, কেরল, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র রয়েছে। দেশে মোট সংক্রমণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্ত রাজ্যগুলি রয়েছে। তবে সবথেকে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী।
এমনকি গত ২৪ ঘন্টাতেও ১৫০০ এরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দিল্লি সহ এই পাঁচ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। কেন সংক্রমণ বাড়ছে তা নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জুন-জুলাই মাসে চতুর্থ ওয়েভ দেশে আছড়ে পড়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে দিল্লির সহ পাঁচ রাজ্যের সংক্রমণ বিপদ ডেকে আনবে না তো? এই অবস্থায় যদিও করোনার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডো নেওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বর্তমানে নয় মাসের ব্যবধানে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সময়সীমা কমিয়ে ছয়মাসের মধ্যে করা'র ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করেই এই ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে। গবেষকদের একাংশ বলছে, সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার ছয়মাসের মাথাতেই যদি বুস্টার ডোজ নেওয়া যায় তাহলে শরীরে অ্যান্টিবডির গ্রোথ ভালো হয়ে থাকে।