দৈনিক করোনা কেস সর্বাধিক, দুই রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা কেরলে
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের মধ্যে দিল্লি–মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কেরলও যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলে দৈনিক করোনা কেস সর্বোচ্চ দেখা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। দৈনিক করোনা টেস্ট পজিটিভিটি হার অতিক্রম করেছে ৪০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার কোভিড–১৯ টেস্ট বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৬,৩৮৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,১৫,৩৫৭ টি টেস্ট হয়। পজিটিভিটি হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪০.২১ শতাংশে। রাজ্যের মধ্যে তিরুবন্তপুরমে সর্বাধিক ৯,৭২০টি করোনা কেস দেখা গিয়েছে। এরপরই রয়েছে এর্নাকুলাম, কোঝিকোড়ে, ত্রিসূর, কোট্টায়াম ও কোল্লাম। এই অঞ্চলগুলিতে যথাক্রমে করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে ৩,০০২, ৪,০১৬, ৩,৬২৭ ও ৩,০৯১।
এগুলি ছাড়া রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা ১,৯৯,০৪১। এর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মোট ৩২ টি মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং পূর্বের আরও ৩০৯টি মৃত্যি এর সঙ্গে যোগ করে দেওয়ার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১,৫০১–এ।
এদের মধ্যে আবার যাদের করোনা টেস্ট পজিটিভ এসেছে, তাদের মধ্যে ১৭২ জন অন্য রাজ্যের, ৪৩,১৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছে অন্যের থেকে। ২,৬৫৪ টি আক্রান্ত কোথা থেকে আক্রান্ত হয়েছে তার উৎস এখনও অজানা। রাজ্যের মোট ৩৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহের কোভিড কেসগুলির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা গিয়েছে যে এ সপ্তাহে ২০৪ শতাংশ কেস বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসাধীন মানুষের সংখ্যা ২০১ শতাংশ বেড়েছে এবং হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেড়েছে। আইসিউতে রোগীর সংখ্যা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা মানুষের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে এবং অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
কোভিড কেস রাজ্যে বৃদ্ধি হওয়ার কারণেই কেরলে আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরপর দু’টি রবিবার (২৩ ও ৩০ জানুয়ারি) কেরলে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। কি কি নিষেধাজ্ঞা থাকছে আসুন দেখে নেওয়া যাক।
❑ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
❑ রবিবার শপিং মল ও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে।
❑ অনলাইনে সব ক্লাস চলবে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাসও অনলাইনে হবে। শুক্রবার থেকে স্কুলে আর কোনও ক্লাস হবে না।
❑ প্রতিটি জেলা প্রশাসন মামলার সংখ্যার ভিত্তিতে নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
❑ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
❑ থিয়েটার এবং পানশালাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
❑ তিরুবনন্তপুরম, ওয়েনাদ, পালাক্কাদ, ইদুক্কি এবং পাথানামথিট্টা জেলাগুলি জনসভায় নিষেধাজ্ঞা সহ বড় বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
❑ এর্নাকুলাম, আলাপুঝা এবং কোল্লামে জনসভা করা যেতে পারে মাত্র ৫০ জন লোকের উপস্থিতিতে।