আছড়ে পড়ল বুলবুল! ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মৃত ৩
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বুলবুলের আছড়ে পড়ার জন্য শনিবার রাত ১১ টা আশপাশের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত নটার পরে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে বুলবুল।
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে বুলবুলের আছড়ে পড়ার জন্য শনিবার রাত ১১ টা আশপাশের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাত নটার পরে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে বুলবুল। যার পুরো অংশ স্থলভাগে ঢুকতে সময় নেয় প্রায় ৩ ঘন্টা। পশ্চিমবঙ্গে সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এরপর তা উত্তর পূর্বের দিকে এগিয়ে যায়।
মৃত ৩
শহরে বুলবুলের বেগ ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা কিংবা পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল অঞ্চলে ছিল ঘন্টায় প্রায় ১২০ কিমি। কোনও কোনও জায়গায় তা ঘন্টায় ১৩৫ কিমিতেও পৌঁছে গিয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জেরে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের দুজন পশ্চিমবঙ্গের অপরজন ওড়িশার। শনিবার কলকাতা শহরে গাছ উপড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওড়িশায়র কেন্দ্রপাড়ায় দেওয়ার চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন
পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ছিড়ে গিয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার। অনেক জায়গাতেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। কলকাতার অনেক জায়গাতেই জল জমে যায়। যার মধ্যে রয়েছে খিদিরপুর, ঠনঠনিয়ার মতো এলাকা।
ওড়ানো হবে ড্রোন
নবান্ন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শহরের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব জানতে রবিবার কলকাতা পুলিশের ড্রোন ওড়ানো হবে।
দিল্লি থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি
ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি শনিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালিয়েছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গউবা। উপকূল এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণে এবং ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছে দিতে নৌবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।