ভারতীয় উপকূলে নয়, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে! সম্ভাব্য গতিপথ ও সময় টুইট আবহবিদের
সবেমাত্র দক্ষিণ আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) ওপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার ভবিষ্যত নিয়ে এখনও সরকারিভাবে বেশি কিছু বলতে রাজি নন আবহ দফতরের কর্তারা। ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone) আঘাত হানা আশঙ্কায় সরকারি তরফে ব্যবস্থ
সবেমাত্র দক্ষিণ আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) ওপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার ভবিষ্যত নিয়ে এখনও সরকারিভাবে বেশি কিছু বলতে রাজি নন আবহ দফতরের কর্তারা। ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone) আঘাত হানা আশঙ্কায় সরকারি তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সের প্রাক্তন সচিব এদিন টুইট করে বলেছেন কোনও ভারতীয় ভূখণ্ডে নয়, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে বাংলাদেশে (Banglaseh)।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সন্নিহিত এলাকায় ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান করছে। যার প্রভাবে ৬ মে নাগাদ একই এলাকায়ট একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হতে পারে। যা খুব সম্ভবত উত্তর-পশ্চিম দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে। এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে ৬-৮ মে-র মধ্যে আন্দামান নিকোবরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে পরিস্থিতির ওপরে ২৪ ঘন্টা নজর রাখা হচ্ছে।
|
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চর্চায় আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদরাও
ঘূর্ণাবর্ত এবং তা থেকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চর্চা করছেন আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদরাও। জেসন নিকলস টুইটে বলেছেন, আগামী দুদিনের মধ্যে আন্দামানের কাছে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। যা থেকে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এর গতিপথ জানা না গেলেও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাগেশ উপকূলের মধ্যে তা আঘাত হানতে পারে। অন্যদিকে এই সপ্তাহের শেষে উত্তরপশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ ফিরবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
|
টুইটে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বর্ণনা প্রাক্তন আমলার
মাধবন রাজীবন মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সের প্রাক্তন সচিব। অবসরে পরেও তিনি এব্যাপারে চর্চা জারি রেখেছেন। নিজের পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এদিন টুইট করে বলেছেন, একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে আন্গামান সাগরে। তারপরে তা রিকার্ভ হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। ১৪ মে নাগাদ। সেই কারণে বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী কোনও ভারতীয় উপকূলেই ভয়ের কিছু নেই বলেই মনে করেন তিনি।
তৈরি ওড়িশা সরকার
সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৯-এ ফণী, ২০২০-তে আম্ফান এবং ২০২১-এ ইয়াসের আঘাতে সাক্ষী ওড়িশা। সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ১৮ টি জেলার জেলাশাসককে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোলরুম খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের কথা ভেবে নিরাপদ আশ্রয়স্থলের খোঁজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জনগণের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আগে থেকে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। খাজ্য মজুতেরও দরকার নেই। বাজারে কৃত্তিম ঘাটতি তৈরি হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপের পূর্বাভাস! এই রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা