১৫০ কিমি বেগের ‘তিতলি’ ’ ফুঁসছে সাগরে, সাইক্লোন মোকাবিলায় কতটা তৈরি প্রশাসন
বর্তমানে তিতলির গতিপথ অনুযায়ী ওড়িশার গোপালপুর-কলিঙ্গপত্তনম উপকূলেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘তিতলি’র। এই অবস্থায় ওড়িশা প্রশাসন তৈরি সাইক্লোন ‘তিতলি’র মোকাবিলায়।
শক্তি বাড়িয়ে সাগরে ফুঁসে ওঠা 'তিতলি' ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশার উপকূলে। বর্তমানে তিতলির গতিপথ অনুযায়ী ওড়িশার গোপালপুর-কলিঙ্গপত্তনম উপকূলেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা 'তিতলি'র। এই অবস্থায় ওড়িশা প্রশাসন তৈরি সাইক্লোন 'তিতলি'র মোকাবিলায়। ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষীবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষজনকে।
বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি ওড়িশা
সমুদ্রবক্ষ দিয়ে ওড়িশার দিকে এগিয়ে যাওয়া ‘তিতলি'র মোকাবিলায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আগাম সতর্কতা নিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন নিরাপদ এলাকায় সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। প্রয়োজনে সেনা নামানো হতে পারে।
[আরও পড়ুন:নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত 'তিতলি', ভাসাতে আসছে পুজোর বাংলা]
‘তিতলি’র মোকাবিলায় উপকূল ফাঁকা
গোপালপুর কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়ার পর ‘তিতলি'র তাণ্ডব মারাত্মক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়লে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়বে ওড়িশা। এই অবস্থায় আগাম যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়ক। ওড়িশায় বর্তমান চূড়ান্ত তৎপরতা। স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী সমস্ত জেলা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতার উপর দিয়েও বয়ে যেতে পারে ‘তিতলি'! সাগরে হঠাৎ গতিমুখ পরিবর্তনে শঙ্কা]
‘তিতলি’ আছড়ে পড়তে পারে ভোর-রাতে
বর্তমান অভিমুখ বজায় থাকলে ‘তিতলি' ওড়িশার গোপালপুর-কলিঙ্গপত্তনম উপকূলে আছড়ে পড়বে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে। সেই সম্ভাবনার কথা ভেবেই ওড়িশা প্রশাসন প্রস্তুত তিতলির মোকাবিলায়। বুধবার দুপুর থেকেই তৎপর প্রশাসন নেমে পড়েছেন কাজে। ‘তিতলি' আছড়ে পড়ার পর উত্তরমুখী হবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে গেলেও তখন গতি হারাবে ‘তিতলি'।
‘তিতলি’র গতিতে বিপদ দেখছে প্রশাসন
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল ২০০ কিমি বেগে ধেয়ে আসবে ‘তিতলি'। তা হলে আরও মারাত্মক হত পরিস্থিতি। ‘তিতলি' ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে সর্বোচ্চ ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ‘তিতলি'র ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বাংলা উপকূলে ৬০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।