১২৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’, চূড়ান্ত সতর্কতা জারি পশ্চিম উপকূলে
১২৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’, চূড়ান্ত সতর্কতা জারি পশ্চিম উপকূলে
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বঙ্গোপসাগর উপকূল তছনছ করে দেওয়ার ১৫ দিন কাটতে না কাটতে আর এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ভারতের পশ্চিম উপকূলে। ভারতীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে পরিণত হবে নিসর্গ। আরব সাগরের বুকে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার
মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ভারতের পশ্চিম উপকূলে। ক্রমেই গতি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। মৌসম ভভনের অধিকর্তা জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ দাঁড়াবে ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটার। আর সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ কোথায় অবস্থান করছে
তিনি আরও জানান, আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য অঞ্চলে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় ঘূর্ণাবর্তটি। তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই ঝড়ের অবস্থান ছিল পানজিম থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে।মুম্বই থেকে ৬৭০ কিলোমিটার এবং সুরাট থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে।
কোন পথে হানা দেবে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ
মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঝড়টি ২ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিমুখ বরাবর চলবে। তারপর ৩ জুন অর্থাৎ বুধবার তা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে রাতের দিকে উত্তর মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের হরিহরেশ্বর এবং দমনের মাঝে আছড়ে পড়বে।
কোথায় কোথায় অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম উপকূলের রাজ্যগুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্ণাটক, কোঙ্কণ, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে মৌসম ভবন। মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
চার মিটার উঁচু ঢেউ, সতর্কতা জারি উপকূলে
মৌসম ভবন সূত্রে আরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে, এই সময়ে সমুদ্র উত্তাল হবে। জলের উচ্চতা চার মিটার অর্থাৎ ১২ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। গুজরাট থেকে মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরল ও লাক্ষাদ্বীপ উপকূলে চাই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ধুঁকতে থাকা ঋণগ্রস্ত MSME সংস্থাগুলির জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার অনুদান কেন্দ্রের