ঘূর্ণিঝড় গুলাব 'অসময়ে' আছড়ে পড়তে চলেছে স্থলভাগে, শনিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন
দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। এদিনই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (cyclone gulab)। এদিন সকালে আবহাওয়া দফতর (weather office) জানিয়েছে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে এবং তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। এদিনই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (cyclone gulab)। এদিন সকালে আবহাওয়া দফতর (weather office) জানিয়েছে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে এবং তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
নিম্নচাপ এগোচ্ছে পশ্চিম দিকে
সকালে দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপ গত ছয়ঘন্টা ধরে ঘন্টায় ১২ কিমি বেগে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। যা এদিন ভোরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সকালে যার অবস্থান ছিল ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৫১০ কিমি পূর্ব দক্ষিণ-পূর্বে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম থেকে পূর্ব উত্তর-পূর্বে।
আগামী ১২ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতর এদিন সকালে জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টায় গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চলেছে। যা পশ্চিম দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরে এবং ওড়িশার দক্ষিণ অংশ দিয়ে এদিন বিকেলের দিকে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে।
উপকূলে হাওয়ার বেগ
ইতিমধ্যেই ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে সেখানে ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমি। যা বেড়ে ঘন্টায় ৯০ কিমি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় তা পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
দেশের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি হবে। এর সামান্য প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে পড়বে। আর ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এই সিস্টেমেবর প্রভাব পড়বে ব্যাপকভাবে। এছাড়াও দেশের মধ্যভারতেও এর প্রভাব পড়তে চলেছে। এর প্রভাব চলতে পারে গুজরাত পর্যন্ত।
অসময়ে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়
বঙ্গোপসাগর
সাধারণভাবে
উষ্ণ।
সাধারণভাবে
অক্টোবরের
শেষে
কিংবা
নভেম্বরের
শুরুর
দিক
থেকে
বঙ্গোপসাগরে
ঘূর্ণিঝড়
দেখা
গিয়েছে।
যা
চলতে
থাকে
মে
মাস
পর্যন্ত।
সেদিক
থেকে
এবারের
ঘূর্ণিঝড়
খানিকটা
অসময়েই
হতে
চলেছে।
এই
ঘূর্ণিঝড়ের
উত্তরপত্তি
ঘূর্ণাবর্তের
রূপে
মায়ানমার
উপকূলে।
তারপর
যা
উত্তর-পূর্বে
দীর্ঘ
সময়
রয়েছে
বঙ্গোপসাগরের
ওপরে।
এর
থেকে
শক্তি
সঞ্চয়
করেছে।
তবে
আবহাওয়া
দফতর
জানিয়েছে,
এই
ঘূর্ণিঝড়
খুব
বেশি
সময়
স্থায়ী
হবে
না
স্থলভাগে।
খুব
তাড়াতাড়ি
শক্তি
হারাবে
এটি
এবং
মিলিয়ে
যাবে।
এবার
সেপ্টেম্বরে
এটি
দ্বিতীয়
নিম্নচাপ।
তবে
জুন
থেকে
অগাস্টের
মধ্যে
আর
কোনও
নিম্নচাপ
তৈরি
হয়নি।
সাধারণভাবে
বর্যার
সময়ে
পাঁচ
থেকে
ছটি
নিম্নচাপ
তৈরি
হয়
এবং
যার
জেরে
মধ্য
এবং
পশ্চিম
ভারতে
ব্যাপক
বৃষ্টি
হয়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান
অনেকদিন আগে থেকেই এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ স্থির হয়ে রয়েছে। মাসের শেষে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তাতে শুধু ওড়িশাই নয়, দক্ষিণবঙ্গেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল ওমান। তখনই জানা গিয়েছিল পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম গুলাম। আর এই গুলাবের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। আর গুলাবের পরে যে ঘূর্ণিঝড় হবে, তার নাম হবে শাহিন। এই নামটি কাতারের দেওয়া। মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ওমান-সহ তেরোটি দেশ বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর এবং আরব সাগর এলাকার ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে।
পরের নিম্নচাপে বড় প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে
এবারের
নিম্নচাপ
থেকে
ঘূর্ণিঝড়
তৈরি
হয়ে
তা
অন্ধ্র
এবং
ওড়িশা-সহ
মধ্য
ভারতের
বিস্তীর্ণ
অংশে
ব্যাপক
প্রভাব
ফেললেও.
তার
খুব
একটা
বেশি
প্রভাব
পড়বে
না
দক্ষিণবঙ্গে।
তবে
পূর্ব
মধ্য
বঙ্গোপসাগরে
২৬
সেপ্টেম্বরে
যে
ঘূর্ণাবর্ত
তৈরি
হতে
চলেছে,
তার
অভিমুখ
আপাতত
রয়েছে
পশ্চিমবঙ্গের
দিকে।
এমনটাই
জানিয়েছে
আলিপুর
হাওয়া
অফিস।
২৮
সেপ্টেম্বর
নাগাদ
এই
ঘূর্ণাবর্তটি
উত্তর
বঙ্গোপসাগরে
পৌঁছনোর
সম্ভাবনা।
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে
ইতিমধ্যেই
ভারী
বৃষ্টির
সম্ভাবনায়
সতর্কবার্তা
জারি
করেছে।
ঘূর্ণিবর্ত
থেকে
নিম্নচাপ
তৈরি
হলেও,
এক্ষেত্রে
ঘূর্ণিঝড়
তৈরির
আর
কোনও
সম্ভাবনা
নেই
বলেও
জানানো
হয়েছে।
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে
বলা
হয়েছে
এই
নিম্নচাপের
প্রভাবে
কলকাতা
ছাড়াও,
পূর্ব
ও
পশ্চিম
মেদিনীপুর,
ঝাড়গ্রাম,
বাঁকুড়া,
পুরুলিয়া,
উত্তর
ও
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
হাওড়া
এবং
হুগলিতে
ভারী
থেকে
অতিভারী
বৃষ্টি
হতে
পারে।
ইতিমধ্যেই
এর
প্রস্তুতি
হিসেবে
নবান্ন
এবং
লালবাজারের
তরফে
উদ্যোগ
নেওয়া
শুরু
হয়েছে।