সমুদ্রে ফুঁসছে সাইক্লোন ‘ফেনি’, ধেয়ে আসছে ১২৫ কিলোমিটার বেগে প্রবল ঝড়
সমুদ্রে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনি’। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে
সমুদ্রে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় 'ফেনি'। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। উপকূলে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
দক্ষিণ উপকূল অভিমুখে ‘ফেনি’
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্রে নামতে নিষেধ করার পাশাপাশি সতর্কতা জারি করেছেন আবহাওয়াবিদরা। কেননা বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে শুরু করেছে। এবং তার অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে।
রবিবারই আছড়ে পড়বে ‘ফেনি'
শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এই ঘূর্ণাবর্ত শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি থেকে ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। চেন্নাই থেকে এটি রয়েছে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে। শনিবার আরও শক্তিবৃদ্ধি করবে এই ঘূর্ণাবর্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল ৩০ এপ্রিল তা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। কিন্তু যেভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্তটি, তাতে ২৮ এপ্রিল রবিবারই ‘ফেনি' আছড়ে পড়তে পারে।
‘ফেনি'র গতি ১২৫ কিমি
২৫ এপ্রিল থেকেই নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়। ৪ মে পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে বলেও জানায় আবহাওয়া দফতর। এই ফেনির প্রভাবে এপ্রিল মাসের শেষে এবং মে মাসের প্রথমে দক্ষিণ ভারতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার।
কলকাতায় বড়জোর দু-এক পশলা
তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ফেনির প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বড়জোড় দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ খানিক মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে চতুর্থ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল আর পঞ্চম দফা ৬ মের মধ্যে প্রচারেও বিঘ্ন ঘটনার সম্ভাবনা নেই।