ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু, কবে ভারতীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ‘সাইক্লোন’
ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু, কবে ভারতীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ‘সাইক্লোন’
ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতীয় মহাসাগর ক্রান্তীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কড়া নাড়া শোনা যাচ্ছে না। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই এবার। এপ্রিল শেষের আগে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
ঘূর্ণিঝড়ের মরশুমে সাময়িক নিস্তার মিলবে এবার!
ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এক শক্তিশালী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির মধ্যে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় আচমকাই তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যেতে পারে উপকূলবর্তী যেকোনও এলাকায়। তার হাত থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের মরশুমে সাময়িক নিস্তার পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। কেননা এই মরশুমে অন্তত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা।
২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের খতিয়ান
২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের ব্যবধানে ভারতীয় উপকূলে প্রাক-বর্ষা মৌসুমে কোনও ঝড় রেকর্ড করা হয়নি মাত্র তিন বছর। বিগত ১১ বছরে ভারতীয় উপকূলের যে কোনও দিকে অন্তত ১টি ঝড় দেখা গেছে। পাঁচ বছর ধরে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে দুটি করে ঘূর্ণিঝড় দেখা গেছে। ২০০৭ এবং ২০১০-এ তিনটি ঝড় রেকর্ড করা হয়। গত দশ বছরে প্রাক-বর্ষা মৌসুমে সর্বাধিক তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। সেগুলি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সমানভাবে হয়েছে।
ভারতীয় সমুদ্রে রেকর্ড সংখ্যক ৯টি ঘূর্ণিঝড় ২০১৯-এ
২০১৯ সালে ভারতীয় সমুদ্রে রেকর্ড সংখ্যক ৯টি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে ভারতীয় উপকূলে। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বাধিক সংখ্যক ঘূর্ণিঝড়। ২০১৯-এ যে ৯টি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার নাম ছিল পাবুক, ফনি, বায়ু, হিক্কা, কায়ার, মহা, বুলবুল, পবন এবং টিএস ০৭এ বা জেটিডব্লিউসি। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে প্রাক-বর্ষায় দুটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। আম্ফান এবং নিসর্গ প্রাক বর্ষায় হয়েছিল। বর্ষা পরবর্তী সময়ে আরও তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়। মোট পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছিল গত মরশুমে।
মার্চে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা কতটা ভারতীয় ভূখণ্ডে
মার্চে ঘূর্ণিঝড় গঠনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম থাকে। তবে মার্চের শেষ শেষ এপ্রিল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়। নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরের উপর দিয়ে গত ১০০ বছরে মাত্র তিনটি ঘূর্ণিঝড় ঝড় তৈরি হয়েছে মার্চে। এই ঝড়গুলির মাসের শেষের দিকে গঠন হয়। রেকর্ড অনুসারে, মার্চ মাসে এমন কোনও ঝড় নেই যা আমাদের উপকূলবর্তী অঞ্চলে কোনও ক্ষতি করেছে।
এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা প্রবল
এপ্রিল মাসে আরব সাগরের চেয়ে বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় সম্ভাবনা বেশি। এই ঝড়গুলি সাধারণত মায়ানমার বা বাংলাদেশের দিকে চলে যায় এবং খুব কমই ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফনি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল। এটিকে আবহবিদরা ব্যতিক্রম বলেই ধরে নেয়। ১৯৯৯ সাল থেকে ওড়িশায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ফনি।
ঘূর্ণিঝড় তৈরির সবথেকে প্রবল মাস হল মে
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সবথেকে প্রবল মাস হল মে। এই মাসে বঙ্গোপসাগরে সর্বাধিক ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে যায়। কয়েকটি মাত্র পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা অভিমুখে ধেয়ে আসে। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ওমান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়া উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়। এই ঝড়ের খুব কমই পশ্চিম উপকূলের দিকে যাত্রা করে।
আরব সাগরে ঝড় গঠনের সম্ভাবনা বেশি জুনে
বঙ্গোপসাগরের চেয়ে আরব সাগরে ঝড় গঠনের সম্ভাবনা বেশি জুনে। এই ঝড় ওমান ও ইয়েমেনের দিকেও যায়। বঙ্গোপসাগর ২০০০ সালের পর থেকে কেবল একটি ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়েমিন কাকিনাড়ার কাছাকাছি এসেছিল। আরব সাগরে তিনটি ঝড় দেখা গিয়েছিল। গনু ২০০৭ সালে, বায়ু ২০১৭ সালে এবং নিসর্গ ২০২০ সালে।
অনলাইন ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় নয়া দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই সংস্থা! হোলিতে রয়েছে একাধিক দুর্দান্ত অফার
কেন মা বলে মমতাকে ডেকেছিলেন? বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন ভারতী ঘোষ