ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি: মোতায়েন হন এনডিআরএফ! হাই অ্যালার্টে তিন বাহিনী
ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি (Low pressure) উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। আর তা ২১ মার্চ নাগাদ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে (Cyclone Asani) পরিণত হবে। এমনটাই মনে করছেন আবহ বিজ্ঞানীররা।
ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি (Low pressure) উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। আর তা ২১ মার্চ নাগাদ ঘূর্ণিঝড় অশনিতে (Cyclone Asani) পরিণত হবে। এমনটাই মনে করছেন আবহ বিজ্ঞানীররা।
যদিও প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে নিম্নচাপটির অবস্থা। শুধু তাই নয়, ধীরে ধীরে সেটি শক্তিও সঞ্চয় করছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ২১ তারিখ প্রথমে আন্দামানে আঘাত করবে এই সাইক্লোন। এরপর সেটি বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে ঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে একাধিক আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এমনকি এই বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে
ইতিমধ্যে এই ঝড়ের বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এনআইএ'তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব ইতিমধ্যে একাধিকমন্ত্রক, এনডিআরএফ সহ বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। শুধু তাই নয়, আন্দামান নিকোবরের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও আগাম ব্যবস্থা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক সেরেছেন। ঝড়ের মোকাবিলা কীভাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সাইক্লোন আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী হবে।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে আগামী ২১ মার্চ এই সাইক্লোন আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী হবে। আর সেই কারণে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হাওয়ার গতিবেগও বাড়তে থাকবে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ইতিমধ্যে পোর্ট ব্লেয়ারে এনডিআরএফের একটি টিমকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় আরও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখার কথা জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে জওয়ানদের এয়ারলিফট করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাচ্ছে, পূর্বাভাস পাওয়ার পরেই আন্দামান-নিকোবরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটন এবং জাহাজ চলাচলের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্কতায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
বেচে যাবে বাংলা।
তবে এই ঝড় আন্দামানের দিকে আছড়ে পড়লেও বেচে যাবে বাংলা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশা উপকূলের দিকে আসবে না। হয় মিয়ানমার কিংবা মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিক। ২২ মার্চ সকালের দিকে সেটি বাংলাদেশ এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূলের কাছে গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।