সাইবার হানার কবলে পড়তে পারে ইসরো
কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা এনপিসিআইএল-এ সাইবার হানার খবর আগেই মিলেছিল।
কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা এনপিসিআইএল-এ সাইবার হানার খবর আগেই মিলেছিল। এবার সাইবার হ্যাকিং এর মুখে পড়তে পারে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো। ইন্টারনেটের ব্যবহার করে গোপনীয় তথ্য চুরির জন্য ইতিমধ্যে সতর্কও করা হয়েছে ইসরোকে।
একটি মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী কুদানকুলাম ও ইসরোর সার্ভারে ইতিমধ্যেই তথ্য চুরির জন্য ব্যবহৃত বেশ কিছু 'ম্যালওয়ারের' খোঁজ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে 'থ্রেট অ্যাক্টর' ও 'ডোমেন কন্ট্রোলার' নামে ওই অত্যাধুনিক ও তথ্য চুরির ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত ওই ভাইরাস গুলিকে "ডি-ট্র্যাক" নামে চিহ্নিত করেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এরপরই তথ্য-চুরির আগাম আভাস পেয়ে এনপিসিআইএল ও ইসরোকে ৪ঠা সেপ্টেম্বরই সতর্ক করা হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর রাশিয়া-ভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ক্যাস্পারস্কি ল্যাবের গবেষকরা জানিয়েছেন যে "ভারতের ব্যাংক এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে" টার্গেট করে তথ্য-চুরির জন্য একটি বিশেষ প্রযুক্তির 'ডি-ট্র্যাক ম্যালওয়ার' তৈরি করেছে হ্যাকাররা। ভারতে যাদের গতিবিধিও ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গেছে বলে জানান তারা। এরপরই বর্তমান এবং সম্ভাব্য সাইবার হুমকির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি গত সচেতনতা তৈরি করতে এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে একটি জাতীয় সাইবার সমন্বয় কেন্দ্র গঠন করা হয় সরকারি ভাবে।
এই বিশেষ ধরণের 'ডি-ট্র্যাক' নামের স্পাইওয়্যারটি গোপনীয় তথ্য, পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি সংক্রমিত ডিভাইসের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই মূলত তৈরি বা প্রোগ্রাম করে হ্যাকাররা। এদিকে গত ২৮শে অক্টোবর ভাইরাস টোটাল ডট কম নামে একটি ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং পরিষেবার মাধ্যমে প্রথম কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে তথ্য চুরির ঘটনার খবর শনাক্ত করা যায় বলে শোনা যায়। পর দিনই এনপিসিআইএল সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করে প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ইন্টারনেট সংযুক্ত নেটওয়ার্ক গুলির মধ্যে একটি ভাইরাস গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে।
গোপন সূত্রে খবর, চন্দ্রযান ২-এর অবতরণ ব্যর্থ হওয়ার পরই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। হুমকি পাওয়ার পরই একটি বহু-এজেন্সি দলও গঠন করা হয় ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য। অন্যদিকে এনপিসিআইএল সাইবার হানার খবর স্বীকার করলেও এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি।
অযোধ্যার রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চলবে নজরদারি