প্রশান্ত কিশোরকে দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে 'শর্ত' কংগ্রেসের! তৃণমূলকে নিশানা সনিয়া ঘনিষ্ঠ নেতার
প্রশান্ত কিশোরকে দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে 'শর্ত' কংগ্রেসের! তৃণমূলকে নিশানা সনিয়া ঘনিষ্ঠ নেতার
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে পারেন, মাস খানেকের বেশি সময় আগে শোনা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও কথা শোনা যায়নি। এদিন সেই নীরবতা ভাঙলেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হরিশ রাওয়াত। তিনি বলেছেন, একজন কর্মী হিসেবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতেই পারেন। তবে দল কীভাবে চলবে, সেসম্পর্কে তিনি ( প্রশান্ত কিশোর) কোনও জোর করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন রাওয়াত।
কোনও ব্যক্তির কাছে দলকে বন্ধক নয়
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং অন্য শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের কথা জানা গিয়েছিল। সেখানেই দল পরিচালনা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের বেশ কিছু মন্তব্যের কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এব্যাপারে হরিশ রাওয়াত বলেছেন, তিনি যত বড় ব্যক্তিই হোন না কেন, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির কাছে দলকে বন্ধ রাখা হবে না।
যে কেউ দলে যোগ দিতে পারেন
হরিশ রাওয়াত বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশ্বাস থাকা যে কোনও ভারতীয় কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরও পারেন। দল (কংগ্রেস) সবসময় নতুন ধারণার পক্ষে। তবে দলে যোগ দেওয়ার পরে কখনই কাউকে বলা হবে না, এবার তুমি তোমার মতো কাজ করো, তাঁরা (দলে থাকা কংগ্রেসীরা) এবার কাজ করা বন্ধ করবেন। কেননা কংগ্রেস গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই কাজ করা হয়। প্রত্যেকেরই সেখানে গুরুত্ব রয়েছে। যদি প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন, তাহলে তিনি সবসময়ই স্বাগত। তবে তার জন্য প্রশান্ত কিশোরকে দলের সংবিধান এবং পরম্পরা মানতে হবে।
দলে প্রথমে সদস্যপদ গ্রহণ, তারপর সব কিছু
প্রশান্ত কিশোরকে কি প্রথমে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দিতে হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে হরিশ রাওয়াত বলেছেন, কংগ্রেসে একটা পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে তাঁকে সদস্য হতে হবে। তারপর তাঁর জন্য উপযুক্ত জায়গা এবং উপযুক্ত কাজ বাছা হবে। তবে দলের তাঁকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কিন্তু প্রথমে তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দিতে হবে। তারপর কংগ্রেসের কীভাবে কাজ করা উচিত তা নিয়ে তিনি তাঁর মত প্রকাশ করবেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত কিশোর লখিমপুর খেরি নিয়ে কংগ্রেসে গঠনগত দুর্বলতার কথা উল্লেখ করেছিলেন নিজের টুইটে।
তৃণমূল দুর্বল করছে কংগ্রেসকে
এক
সর্বভারতীয়
সংবাদ
মাধ্যমের
অনুষ্ঠানে
এআইসিসির
সাধারণ
সম্পাদক
হরিশ
রাওয়াত
তৃণমূল
সম্পর্কেও
কংগ্রেসের
মতামত
জানিয়েছেন।
তিনি
বলেছেন,
যেসব
রাজ্যে
বিধানসভার
নির্বাচন
হতে
যাচ্ছে,
সেইসব
রাজ্যে
দলের
(কংগ্রেসে)
নেতাকে
নিয়ে
কংগ্রেসকে
দুর্বল
করছে
তৃণমূল।
তিনি
আরও
বলেছেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পদক্ষেপ
কোনওভাবেই
বিজেপি
বিরোধী
ঐক্যকে
সাহায্য
করবে
না।
এব্যাপারে
তিনি
অসমের
সুম্মিতা
দেব
এবং
গোয়ার
লুইজিনো
ফেলেইরোর
তৃণমূলে
যোগ
দেওয়ার
প্রসঙ্গকে
ইঙ্গিত
করেছএন।
এর
আগে
পশ্চিমবঙ্গ
প্রদেশ
কংগ্রেসের
সভাপতি
অধীর
চৌধুরী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
আক্রমণ
করতে
গিয়ে
বলেছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
কংগ্রেসকে
কংগ্রেস
এম-এ
পরিণত
করতে
চাইছেন।
এদিন
একইসঙ্গে
হরিশ
রাওয়াত
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
তাঁর
পুরনো
সম্পর্কের
কথা
মনে
করিয়ে
গিয়েছেন।
তিনি
বলেছেন,
যুব
কংগ্রেসের
পাশাপাশি
দীর্ঘদিন
একইসঙ্গে
সংসদেও
ছিলেন
তাঁরা।
আর
যেভাবে
তিনি
নরেন্দ্র
মোদী
এবং
অমিত
শাহের
বিরুদ্ধে
পশ্চিমবঙ্গে
লড়াই
করেছেন,
তার
তারিফ
করতে
হয়।
তবে
তাঁকে
(মমতা)
বুঝতে
হবে
অনেক
রাজ্যেই
তাঁর
দলের
(তৃণমূল)
কোনও
অস্তিত্ব
নেই।
নির্বাচনের
সময়ে
কংগ্রেস
থেকে
বেশ
কয়েকজনকে
নিয়ে
দলে
জায়গা
দিলাম,
এই
করে
গোয়া
ও
উত্তর-পূর্বে
কংগ্রেসকে
দুর্বল
করা
হচ্ছে
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
সনিয়া
গান্ঘী
ঘনিষ্ঠ
এই
নেতা।
যা
কোনওভাবেই
বিরোধী
ঐক্যকে
সাহায্য
করবে
না
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।