কাটছে আতঙ্কের প্রহর, বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার! পূর্ব লাদাখের এই এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে লালফৌজ
কাটছে আতঙ্কের প্রহর, বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার! পূর্ব লাদাখের এই এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে লালফৌজ
অবশেষে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফিরছে পূর্ব লাদাখে। ইতিমধ্যেই দ্বাদশ সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে লাদাখের একাধিক অস্তির পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে দুই দেশ। দশম বৈঠকের পর থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হলেও আগ্রাসী অবস্থান কিছুতেই পিছু হটছিল না চিন। অবশেষে দ্বাদশ সামরিক বৈঠকের পর থেকে ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে বরফ। সূত্রের খবর, অবশেষ গোগরা এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পথে হাঁটছে বেজিং।
অবশেষে কাটছে আতঙ্কের প্রহর
এদিকে চিন যদি ওই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় তাহলে ভারতেও এলাকা খালি করে দেবে বলে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে। অযথা ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনাই ছিল না ভারতীয় সেনার, কিন্তু চিনের চোখ রাঙানি ঠেকাতেই এতদিন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছিল ভারতকে। অবশেষে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে আসতে চলেছে বড় সাফল্য। এদিকে এই এলাকায় স্থিতাবস্থা ফেরানোর দাবি দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরাও।
কোন জায়গায় সেনা সরাচ্ছে লালফৌজ
সূত্রের খবর, লাদাখের প্যাট্রোল পয়েন্ট ১৭এ থেকেই মূলত সেনা সরাচ্ছে লালফৌজ। এই এলাকাতেই এখানে গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে দুই দেশের সেনাবিহিনীর মধ্যে বারংবার সংঘর্ষ বেঁধেছে। এমনকী গালওয়ানের মূল সংঘর্ষ স্থল থেকেও এই এলাকার দূরত্ব বেশি নয়। এদিকে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সমস্ত অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে ফেলার কাজ করছে দুই দেশের সেনাই। দ্রুত শেষ হবে সেই কাজ।
বিবৃতি দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
এদিকে ইতিমধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি স্থানে নতুন করে সেনা মোতায়েন বন্ধ করেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের কাজ পুরোমাত্রায় শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই এখনও দুই পক্ষই একে অপরের দিকে নজর রাখছে। বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে।
হটস্প্রিং আর দোপসাং ভ্যালি নিয়ে এখনও রয়েছে উত্তেজনা
এদিকে গোগরা থেকে সেনা সরলেো এখনও পর্যন্ত হটস্প্রিং আর দোপসাং ভ্যালি এলাকা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রয়েছে। ১ জুলাই ভারত ও চিনের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে ১২তম সামরিক বৈঠকে এই বিষয়েও বিস্তর আলোচনা হয় বলে জানা যায়। তবে এখনও পুরোমাত্রায় সমাদানের রাস্তা বেরোয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে দ্রুত এই বিষয়ে সর্বোসম্মতিক্রমে উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর দুই দেশ। এমনটাই মত, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।