ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা! একনজরে তিন রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা! একনজরে তিন রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় তিনটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ভোট। এর মধ্যে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় রয়েছে। তবে নাগাল্যান্ড-মেঘালয়ে তারা শাসক জোটের অংশ হিসেবে রয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তিন রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
মেঘালয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
এনপিপি
মেঘালয়ে
ক্ষমতায়
রয়েছে।
সেখানে
৬০
টি
আসনের
মধ্যে
ন্যাশনাল
পিপলস
পার্টির
রয়েছে
২০
টি
আসন।
সরকারের
সমর্থনকারী
ইউডিপির
৮
টি
আসন,
পিডিএফ,
বিজেপি
ও
নির্দলদের
দুটি
করে
আসন
রয়েছে।
বিরোধী
হিসেবে
সেখানে
তৃণমূলের
রয়েছে
৯
টি
আসন।
মুকুল
সাংমা
তৃণমূলের
নেতা।
তবে
বিধানসভায়
১৪
টি
আসন
এই
মুহূর্তে
খালি।
সরকারে
বিজেপির
সমর্থন
থাকলেও
ক্ষমতাসীন
এনপিপি
৫৮
টি
আসনে
প্রার্থী
ঘোষণা
করে
দিয়েছে।
তারা
একাই
নির্বাচনে
লড়াই
করবে
বলে
জানিয়েছে।
তবে
নির্বাচনের
মুখে
প্রধান
বিরোধী
তৃণমূলকে
ধাক্কা
দিয়ে
একাধিক
বিধায়ক
ক্ষমতাসীন
এনপিপিতে
যোগ
দিয়েছেন।
অন্যদিকে
২
এনপিপি
এবং
১
কংগ্রেস
এবং
১
নির্দল
বিধায়ক
বিজেপিতে
যোগ
দিয়েছেন।
এনপিপির
সঙ্গে
জোট
না
হলেও
বিজেপি
মনে
করছে
উত্তর-পূর্বের
এই
রাজ্যের
তাদের
ফল
এবার
আরও
ভাল
হবে।
নির্বাচনের
দিন
ঘোষণার
দিন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়
মেঘালয়
সফর
করছেন।
কংগ্রেসের
১২
বিধায়ক
তৃণমূলে
যোগ
দিলেও
একাধিক
বিধায়ক
এনপিপি
এবং
বিজেপিতে
চলে
গিয়েছেন।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন
দাবি
করেছেন,
মেঘালয়ে
তৃণমূলই
ক্ষমতায়
আসবে।
বর্তমান
পরিস্থিতিতে
মেঘালয়ে
কংগ্রেসের
অবস্থান
সব
থেকে
খারাপ
বলেই
মনে
করছে
রাজনৈতিক
মহলের
একাংশ।
গত
বিধানসভা
নির্বাচনে
তারা
যে
১৭
টি
আসন
দখল
করেছিল,
তার
মধ্যে
১২
জন
প্রথমে
তৃণমূলে
চলে
যান।
অন্যদিকে
৫
বিধায়ক
এনপিপিকে
সমর্থন
করায়
তাদেরকে
কংগ্রেস
সাসপেন্ড
করে।
নাগাল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় রয়েছে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। এই জোটে রয়েছে এনডিপিপি, বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রী এনডিপিপির নিফিউ রিও। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এনপিএফ ২৬ টি, এনডিপিপি ১৮ টি, বিজেপি ১২ টি, এনপিপি ২টি জেডিইউ এবং নির্দল একটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল।
এবার বিজেপি মনে করছে, তাদের আসন বাড়তে পারে। কেননা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন আফসপা আংশিক তুলে নেওয়া তাদের পক্ষে যাবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তবে এই পরিস্থিতিতে সেখানকার সাতটি উপজাতি সংগঠনের মিলিত সংগঠন ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্জ নামে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছে।
ত্রিপুরার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
ত্রিপুরায়
৬০৯
টি
আসনের
মধ্যে
২০
টি
উপজাতি
অধ্যুষিত।
২০১৮-র
নির্বাচনে
বিজেপি
ত্রিপুরায়
৩৩
টি
আসন
পায়।
অন্যদিকে
জোটসঙ্গী
আইপিএফটি
পায়
৪
টি
আসন।
সিপিএইএম
পায়
১৫
টি
এবং
কংগ্রেস
পায়
১
টি
আসন।
এই
মুহূর্তে
ছটি
আসন
খালি
রয়েছে।
২০১৮-তে
বিজেপি
২৫
বছরের
পুরনো
বাম
শাসনের
অবসান
ঘটিয়ে
ক্ষমতায়
আসে।
বিপ্লব
দেব
মুখ্যমন্ত্রী
হন।
গত
মে
মাসে
তাঁকে
সরিয়ে
মুখ্যমন্ত্রী
করা
হয়
মানিক
সাহাকে।
বিজেপি
এখনও
পর্যন্ত
জোটসঙ্গী
আইপিএফটিকে
রাখার
চেষ্টা
করে
যাচ্ছে।
এইমধ্যে
সেখানে
জনবিশ্বাস
যাত্রা
করেছেন
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত
শাহ।
বিজেপিকে
হারাতে
এবার
ত্রিপুরায়
বাম-কংগ্রেস
জোটের
সম্ভাবনা
তৈরি
হয়েছে।
জোট
নিয়ে
দুদলের
রাজ্য
এবং
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বের
বৈঠক
হয়েছে।
উপজাতি
অধ্যুষিত
২০
টি
আসনে
ভাল
প্রভাব
রয়েছে
প্রদ্যুত
বিক্রম
মাণিক্যের।
দল
টিপ্রামোথার
মাধ্যমে
তিনি
আলাদা
টিপ্রাল্যান্ডের
ডাক
দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে
তিনি
আইপিএফটিকে
নিজের
দলে
সংযুক্ত
হওয়ার
আহ্বান
জানিয়েছেন।
২০২১-এ
তৃণমূল
এই
রাজ্যে
নতুন
করে
প্রভাব
বিস্তারের
চেষ্টা
চালানো
শুরু
করেছে।
তবে
তারা
পুর
নির্বাচনে
তেমন
কোনও
প্রভাব
ফেলতে
পারেনি।
তবে
বেশ
কয়েকটি
আসনে
জয়ের
ব্যাপারে
আত্মবিশ্বাসী
তারা।
তারা
দলের
শীর্ষপর্যায়ে
রদবদলও
করেছে।
উত্তর-পূর্বে ছাপ ফেলতে পারবে কি তৃণমূল
এবারও প্রথমবার যখন একই সঙ্গে উত্তর পূর্বের দুই রাজ্য ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, মেঘালয়ে তৃণমূলও ক্ষমতায় আসবে। ত্রিপুরাতেও তৃণমূল একই দাবি করেছে। তবে তৃণমূল উত্তর-পূর্বে আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য তা জানা যাবে ২ মার্চ।
ফের মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভানা, শেষবেলায় কেন পরিবর্তন চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী