কাশ্মীরে অশান্তির আশঙ্কায় জারি কার্ফু, গৃহবন্দী অবস্থায় পালিত হচ্ছে ঈদ
শ্রীনগর, ১৩ সেপ্টেম্বর : কাশ্মীরের ১০ টি জেলাতে চলছে কার্ফু তাই এবার গৃহবন্দী অবস্থাতেই পালিত হচ্ছে ইদ-উল-জোহা। মসজিদে গিয়ে নামাজ পঠে অংশ নিতেও সমস্যায় পড়েন মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু সাধারণ মানুষ। কাশ্মীরি কবি ও সামাজকর্মী জরিফ আহমেদ জরিফ বলেন, "আমার ৭০ বছরের জীবনে ঈদের দিনে এমন পরিস্থিতি কোনও দিন দেখিনি। এটাই আমাদের জীবনে সবথেকে ভয়ের দিন। এই পরিস্থিতির জন্য অসহায় বোধ করছি।" মঙ্গলবার সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু এবং ৩০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতারা মঙ্গলবার কাশ্মীরে পদযাত্রার ডাক দিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর এই পদযাত্রা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বড় ধরনের হিংসা ও রক্তপাত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। সেই জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। দোকান, স্কুল, অফিস, বাজার সব কিছুই বন্ধ থাকার কারণে একরকম ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত সেখানকার মানুষ।
সোমবার পুঞ্চ এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়। সীমান্ত লাগোয়া জেলা অনন্তনাগে একটি পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় এক স্থানীয় বাসিন্দার বাসিন্দার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার যেহেতু ঈদ উৎসব রয়েছে তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকাগুলিতে ।
হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যু হয় ৮ জুলাই। এরপর থেকেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি বেশিরভাগ সময়েই অশান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সাধারণ নাগরিক এবং পুলিশকর্মী সহ প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গিয়েছে উপত্যকায়। কার্ফু জারি থাকার কারণে ঈদ উৎসবে সামিল হওয়া থেকে বঞ্চিত মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ তেমনি সাধারণ জনজীবনও বিপর্যস্ত উপত্যকায় ।