অগ্নিগর্ভ মন্দসৌর নিয়ে কী বলছে বিজেপি সরকার ? ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামল কংগ্রেসও, চৌহানের পদত্যাগ দাবি
মন্দসৌরের ঘটনার পর বুধবারও থমথমে মন্দসৌর, জারি কারফিউ। গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের। ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী চৌহানের।
মঙ্গলবারই মন্দসৌরে পুলিশের গুলিতে পাঁচ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু গুলি চালাল কে? মন্দসৌর প্রশাসনের দাবি, গুলি চালানোর কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বুধবারও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর ক্ষেপে যান বিক্ষোভরত কৃষকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের তাড়া করা হয়। অবশ্য জেলা কালেক্টরের আশ্বাসের পর কিছুটা শান্ত হন কৃষকরা।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের ঘটনায় নিহত কৃষকদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সেইসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও।
এদিকে নতুন করে পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয়, তার জন্য মন্দসৌর ও পিপলিয়া মান্ডি এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। এদিকে চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মন্দসৌরের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। গোটা পরিস্থিতির জন্য একদিকে কংগ্রেসকে দায়ী করেছন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, অন্যদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের মদতেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশের গৃহমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরেই ঋণ মকুব ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যর দাবিতে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।
উল্লেখযোগ্যভাবে এই দুই রাজ্যেই শাসনভার বিজেপির হাতে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারও আগামী পাঁচ বছরে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এরকম একটি ঘটনা বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।