
ফের বাড়ছে চিনির দাম, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে চিনি রফতানিতে আরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের
চিনি এখন রফতানি করবে না কেন্দ্র। এটি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা এখন জারি রইল। আগামী আরও এক এই সিদ্ধান্ত বজায় রাখল কেন্দ্র। গত মে মাসে চালু হয়েছিল চিনির রফতানিতে এই নিয়ন্ত্রণ। গতবারের ঘোষনা অনুযায়ী অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার তা বাড়ল আরও এক বছর।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। এবং সেখানেই চিনির উপর এই নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তা এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দিয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত তা চালু রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পণ্য রফতানি
রেকর্ড পরিমাণ পণ্য রফতানি করে গত মে মাসে চিনিকলগুলি। ফলে দেশের বাজারে দাম বাড়ছিল। দামও বাড়ছিল হু হু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই হত। তাই খাদ্যমন্ত্রক এক কোটি টনে বেঁধে দেয় রফতানির পরিমাণকে। সেই নিষেধাজ্ঞায় জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকারি অনুমোদন ছাড়া রফতানি করা যাবে না চিনি। ।

ডাইরেক্টরেট অব সুগার
'ডাইরেক্টরেট অব সুগার' এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করছে খাদ্যমন্ত্রকের অধীনে । যে কোনও এমন জিনিস রফতানির জন্য তাই এর অনুমতির প্রয়োজন। চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা চলতি মরসুমে রেকর্ড গড়েছে। উত্তর ভারতে আখের উৎপাদন দামের হিসাবে ৪২ শতাংশ বেড়েছে, ২০১১ থেকে ২০২০ সাল। তা ৩২.৪ শতাংশ পড়েছে দক্ষিণ ভারতে।

চিনি উৎপাদনে ভারতের স্থান
বিশ্বে চিনি উৎপাদনে ভারতের স্থান প্রথম। আর ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হল ভারত। মার্চের সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, দেশে দামের ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে চিনির রপ্তানি নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদী সরকার। সেব্যাপারে পরিকল্পনার কথাও প্রকাশিত হয়েছিল সেই সময়।
বিশ্বজুড়েই চিনির মূল্যবৃদ্ধি। যার মূল কারণ গিসেবে উঠে আসছে, প্রধান রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিলে চিনির কম উৎপাদন হওয়া এবং সেখানকার চিনির মিলগুলি আখ-ভিত্তিক ইথানল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে বিশ্বজুড়েই চিনির মূল্যবৃদ্ধি বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ভারতের তরফে ৮০ লক্ষ টন চিনি রপ্তানির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে মিলগুলিকে বিশ্বের বাজারে আরও চিনি বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন প্রথমে জানিয়েছিল এবার ৩.১ কোটি টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। পরে তারা তা সংশোধন করে জানায় ৩.৫৫ কোটি টন চিনি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের চিনির কলগুলি সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে ৮৫ লক্ষ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছিল।
ঘুরপথে মহারাষ্ট্রের শিল্প চলে যাচ্ছে গুজরাতে, ক্ষতি ১.৮০ লক্ষ কোটি টাকা