কোন যুক্তিতে, কোন জায়গা থেকে লকডাউন প্রথমে তোলা হবে, সরকারি পর্যায়ে জোর আলোচনা
১৪ এপ্রিল রাত থেকে ২১ দিনের লকডাউন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও এব্যাপারে এখনও কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একাধিক রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে স্থানীয় ভিত্তিতে লকডাউন নিয়ে। যেসব জেলায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব এখনও ধরা পড়েনি সেইসব জেলা থেকে আগে লকডাউন তুলে নেওয়া হতে পারে।

দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
২৪ ঘন্টায় দেশে ৫০৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৭৭ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ৮৩। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ৩০ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৫১ জন। আর মৃতের সংখ্যা ছিল ৩২।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যদি তবলিঘ-ই-জামাতের ঘটনা না ঘটত, তাহলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হত ৭.৪ দিনে। কিন্তু বর্তমানে তা দ্বিগুণ হয়েছে ৪.১ দিনে।

নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে আলোচনা
দিল্লিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে ভিলওয়াড়া, আগ্রা, গৌতম বুদ্ধনগরের কথা। এইসব জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য জেলাগুলির থেকে অনেকটাই বেশি। এই সব জেলার প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণের কৌশল ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়েছেন।

৯ টি রাজ্যের ২১ টি জেলা হটস্পট
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৯ টি রাজ্যের ২৩০ টি জেলার মধ্যে ২১ টি জেলা হটস্পট। দেশের ২৭৪ টি জেলা থেকে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। লকডাউন তোলার সময় এইসব তথ্যও নজরে রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
উত্তর প্রদেশের ৭৫ টি জেলার মধ্যে ৪৭ টি থেকে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে হরিয়ানার ২২ টি জেলার মধ্যে ১৪ টি থেকে লকডাউন এখনও তোলা উচিত হবে না বলে মত প্রকাশ করেছেন সরকারি আধিকারিকরা।

৩ রাজ্যের প্রস্তাব
রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেইসব রাজ্যের যেসব জেলায় করোনা আক্রান্ত এখনও নেই, সেখান থেকে আগে লকডাউন তুলে নিতে চান তারা। এইসব রাজ্যে করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে কোনও মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতেও চান তাঁরা। উদাহরণ স্বরূপ রাজস্থানের ৩৩ জেলার অর্ধেক থেকে করোনা আক্রান্তের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও জেলাগুলিতে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখতে চায় রাজ্য সরকারগুলি। এছাড়াো, মল, সিনেমা হল, শিক্ষা কেন্দ্রগুলি খুলতে আরও সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে।