গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সমস্যাগুলি কী কী? প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা সিএসডিএস- লোকনীতির
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সমস্যাগুলি কী কী? প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা সিএসডিএস- লোকনীতির
দেশের অন্য রাজ্যে প্রচারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা গুজরাত মডেলের কথা তুলে ধরেন। নরেন্দ্র মোদী যে সময় জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, সেই সময় তাঁকে গুজরাত মডেলের ম্যাসকট বলা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক দশক কেটে গিয়েছে। এখনও কি গুজরাতবাসী সেই স্লোগানে অনুপ্রাণিত হন, তাঁরা সেই স্মৃতি নিয়ে কতটা গর্ব বোধ করেন, গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে একমাস আগে সেই তথ্যই উঠে এসেছে সিএসডিএস- লোকনীতির সমীক্ষায়।
সমস্যা মূল্যবৃদ্ধির
গুজরাতের বিজেপির শাসন এবং উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছে সিএসডিএস- লোকনীতি। সেখানে জনগণের আর্থিক দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারির কথা তুলে ধরেছেন। পাঁচ বছর আগে ২০১৭-তে বিজেপি গুজরাতে জয়লাভ করেছিল। ২০১৭-র ভোটে যেখানে ১৫ শতাংশ মানুষ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, এখন ৫১ শতাংশ মানুষ তা নিয়ে চিন্তিত। ২০১৭-তে বেকারি নিয়ে বলেছিলেন ১১ শতাংশ মানুষ। এবার সেখানে ১৫ শতাংশ মানুষ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ অন্য বিষয়ের কথা বলেছেন। এবার ছয় শতাংশ করে মানুষ সরকারের কাজ এবং দারিদ্রকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যেসব ইস্যু গুজরাতের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে
মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা গুজরাতের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। তা আগেই দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষের ৮৪ শতাংশ এই মত প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ৭৭ তাংশ মনে করছেন বেকারি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি ৫২ শতাংশ পরিবর্তন, ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন হিন্দুত্ব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ৪১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন লাম্পি ভাইরাস এবং ৩৫ শতাংশ মনে করছেন জাতি ভিত্তিক বিভেদ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।
ভোটের দিন গুরুত্বপূর্ণ
সমীক্ষায় বারে বারে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারির সমস্যা সামনে চলে এলেও, নির্বাচনের দিন একটি পছন্দকে আগে রাখার ক্ষেত্রে তা ভোটারদের পছন্দকে প্রভাবিত করে। সেক্ষেত্রে অর্থনীতিই সমস্যা নাকি, স্থানীয় অন্য কোনও সমস্যা কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই সময় অগ্রাধিকার বেছে নেন ভোটাররাই।
বিরোধীরা পারবে কি
গত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিরোধীরা বেকারি এবং মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে ভোটদাতাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজেপির রাজনৈতিক দক্ষতারও প্রশংসা করছএন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে এবার কি বিরোধীরা পারবে বিষয়গুলি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে, নাকি আরও ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা যাবে বিজেপির হাত?
হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: 'ফির ভাজপা সরকারে'র মোকাবিলায় কংগ্রেসের হাতিয়ার দুর্নীতি