ছত্তিসগড়ে মাওবাদী হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য! ৩ মাসে ৪৫ টি গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলা নিয়ে বার্তা
ছত্তিসগড়ে মাওবাদী হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। এলাকায় সতর্কতা নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হলেও, সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বিস্ফোরণে নয় সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর এমনই তথ্য উঠে আসছে।
ছত্তিসগড়ে মাওবাদী হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। এলাকায় সতর্কতা নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হলেও, সেই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বিস্ফোরণে নয় সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর এমনই তথ্য উঠে আসছে। গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে মাওবাদী হামলা নিয়ে একাধিকবার সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল।
ছত্তিসগড়ের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে বস্তার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তল্লাশি অভিযানে গাড়ি ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এমন কি মাওবাদী হামলার জন্য যে তৈরি হচ্ছে সেই সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছিল।
১৮ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ-এর আধিকারিক এবং রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের দেওয়া সতর্কবার্তায় এসআইবি এবং নকশাল দমন অভিযানের স্পেশাল ডিজি জিএম অবস্তি জানান, দিন কয়েক ধরে বড় সংখ্যায় অস্ত্র সমেত ১২০ থেকে ১৫০ জনের মাওবাদীদের দল তেলেঙ্গানা থেকে ছত্তিসগড়ের কিস্তারাম থানার সকলের এবং গুদরাইয়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাদের ওপর পালোদি ক্যাম্পে হামলার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলা হয়।
এর আগেও এক চিঠি পালোদি ক্যাম্পে হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন স্পেশাল ডিজি। কেননা এই পালোদি ক্যাম্প মাওবাদীদের কোর এরিয়ার মধ্যে রয়েছে। ফলে সেখানে আক্রমণের সম্ভাবনা সব সময়ই ছিল। সেই জন্য সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আগে ভাগেই নির্দেশও দেওয়া ছিল।
সতর্কতা জারি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, স্পেশাল ডিজি অবস্তি জানিয়েছেন, হামলায় গোয়েন্দা বিভাগের কোনওো রকমের ব্যর্থতা নেই। কেননা একাধিক সংস্থা এই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল আইবি, রাজ্যের এসআইবি, রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা এবং সিআরপিএফ-এর নিজেস্ব নেটওয়ার্ক এমন কি জেলার এসপির নেটওয়ার্ক।
জানা গিয়েছে, কিস্তরাম এবং পালোদির ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে ৪৫ টি আলাদা আলাদা গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল গত তিন মাসের মধ্যে। মাওবাদীদের দলে রামান্না, সাবিত্রী, সোধি সুধাকর, নাগেশের মতো শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতির কথাও জানানো হয়েছিল।