চারপাশে বিস্ফোরক, কানের পাশ দিয়ে ছুটছে বুলেট। দিলীপ মালিকের অবদান জানলে স্যালুট জানাবেন
প্রজাতন্ত্র দিবসে সকালে বীরতা এবং কৃতিত্বের জন্যে একঝাঁক পুলিশ এবং জওয়ানকে স্যালুট জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। আর এর মধ্যেই শৌর্যচক্র সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন সিআরপিএফের(CRPF) বেঙ্গল সেক্টরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দিলীপ ম
প্রজাতন্ত্র দিবসে সকালে বীরতা এবং কৃতিত্বের জন্যে একঝাঁক পুলিশ এবং জওয়ানকে স্যালুট জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। আর এর মধ্যেই শৌর্যচক্র সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন সিআরপিএফের(CRPF) বেঙ্গল সেক্টরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দিলীপ মালিক.
যেভাবে সাহস এবং বীরত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন দিলীপ মালিক, এর স্বীকৃতি হিসাবে শৌর্যচক্র সম্মান এদিন দেওয়া হয় তাঁকে। মাওবাদী এবং জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় অসীম সাহস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। যা সত্যিই অন্যকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
প্রত্যেক টিমের কমান্ডারেরই কর্তব্য একদিকে শত্রু বিনাশ এবং অন্যদিকে নিজের টিমকে সুরক্ষা দেওয়া। কর্তব্যপালনের সময়ে এই দুটি বিষয়ই মাথায় রাখতেন দিলীপ মালিক। পরপর তিন মাওবাদীকে নিকেশ করে অদম্য সাহসীকতার পরিচতয় দিয়েছিলেন তিনি। আর তারই স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মান দিলীপ মালিককে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি যখন তাঁর অপারেশনের কথা জানিয়েছেন, শুনলে মনে হবে যেন আস্ত সিনেমা। চারপাশ জুড়ে রয়েছে বিস্ফোরক! কানের পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে বুলেট।
শুনতে সিনেমার মতো হলেও বাস্তব ছবিটা অনেক ভয়ঙ্কর তা স্পষ্ট। এই অবস্থার মধ্যেই ২০১৯ সালের সেই অভিযানে সফল হয়েছিলেন তিনি। দিলীপ মালিক বলেন, বিহারের গয়াতে চকরবান্ধার জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো টিম নিয়ে জঙ্গলে পৌঁছে যান ডিসি দিলীপ মালিক। আর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন ফাঁদ পেতেছিল মাওবাদীরা। চারপাশে ঘিরে ছিল সশস্ত্র মাওবাদীরা। শুধু তাই নয়, চলতে থাকে গুলিও।
দিলীপ মালিক বলেন, এত কাছ থেকে বুলেট ছুটে যাচ্ছিল যে বারুদের গন্ধটাও আমার নাকে আসছিল। তিনি আরও বলেন, একেবারে সিনেমার কায়দায় নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছিল মাওবাদীরা। তাঁর টিমের প্রত্যেকেই বিপদের মুখে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সেদিন তাঁরা ঠিক করেছিলেন যতক্ষণ না মাওবাদীদের নিকেশ করা হচ্ছে তাঁরা এলাকা ছাড়বেন না।
স্পষ্ট বার্তা ছিল, নয় মারবেন নয় মরবেন! আর সেই মতো পালটা গুলি চালাতে থাকেন মাওবাদীদের টার্গেট করে।
যতক্ষণ তাঁরা দেখতে পান প্রবল গুলি বর্ষণ চলছে তখন একেবারে কাছ থেকে এনকাউন্টারের জন্যে এগিয়ে যান সিআরপিএফ জওয়ানরা। টিমকে সুরক্ষা দিতে প্রথমে একা এগিয়ে যান দিলীপ। মাওবাদীরা একেবারে তাঁর কাছে চলে এসেছিল। জওয়ানরা বারবার তাঁকে সতর্ক করছিলেন। তিনি বলেন, হঠাত ঠিক করলাম খুব কাছ থেকে গুলি চালাব। তাতে মৃত্যু হলে হবে।
আর সেই অভিযানে তিন মাওবাদীকে নিকেশ করেছিলাম। উদ্ধার হয় প্রচুর অতাধুনিক অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। নিকেশ হওয়া তিনজন কুখ্যাত মাওবাদী বলে পরবর্তীকালে জানা যায়।
অন্যদিকে কিষেনজীকে এনকাউন্টারের পিছনেও এই অফিসারের ভূমিকা ছিল ভয়ঙ্কর।