সঙ্গীন অবস্থা ৫ রাজ্যের, করোনা রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু কেন্দ্রীয় দলের
সারা দেশে চালু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা টিকাকরণ। যদিও এরই মাঝে করোনা দ্বিতীয় জোয়ারে উদ্বেগ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, কেরল সহ মোট ছয়টি রাজ্যে। আর সেই কারণেই নতুন পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকগুলিকে সাহায্যের জন্য পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রে পৌঁছাল কেন্দ্রের একটি বিশেষ বিশেষজ্ঞ দল। এমতাবস্থায় রাজ্যগুলির অবস্থা কতদূর ঠিকঠাক হয়, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে দেশবাসী।

মহারাষ্ট্রে প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ১০,০০০
রাজ্যগুলিতে কন্টেইনমেন্ট ও কোভিডবিধি সঠিকভাবে চালু রাখার জন্য পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রে পৌছাচ্ছে কেন্দ্রের বিশেষ বিশেষজ্ঞ দল, জানাল ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। জানা যাচ্ছে, গত বছরের অক্টোবরের পর পুনরায় মহারাষ্ট্রে প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাল ১০,০০০-এর উপরে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১.৯৮ লক্ষ, মারা গেছেন ৫২,৩০০ জন।

একদিনে ১,০০০ জন আক্রান্ত পাঞ্জাবে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাঞ্জাবে পুনরায় ছড়াচ্ছে কোভিড ভাইরাস। প্রায় পাঁচমাস পর পুনরায় গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১,০০০। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৮৬,১৮৯ জন। যদিও বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যায় জোয়ার দেখা গেলেও পরদিনই আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় ৮১৮। তবুও এখনই যে স্বস্তি পাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, তা স্পষ্ট করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা।

হটস্পট এলাকাগুলিতে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় দল
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সকল হটস্পট এলাকাগুলিতে পৌঁছাবে কেন্দ্রের বিশেষ বিশেষজ্ঞ দল। করোনার পুনরাগমনের কারণ খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিক প্রশাসনের সহযোগিতা একান্তভাবে চাইছে কেন্দ্র, তাও স্পষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে। স্বাস্থ্যদপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "রাজ্যে করোনার আগমনকে রুখতে চিকিৎসাব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজে বের করবে কেন্দ্রের এই বিশেষ দল।"

৫ রাজ্যের অবস্থা সঙ্গীন
শনিবার নতুন করে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৩২৭ জন, জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সে তথ্যও জানান হয় কেন্দ্রীয় সূত্রে। গত ২৪ ঘন্টায় কেরল, ছত্তিশগড় ও তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যায় ভাঁটা দেখা গেলেও একই সময়ে করোনার দাপট বেড়েছে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায়, স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে।