ফের অম্বিকেশ কাণ্ডের ছায়া, মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদাহানির অভিযোগে গ্রেফতার কার্টুনিস্ট
কার্টুন নিয়ে এবার অম্বিকেশ কাণ্ডের ছায়া তামিলনাড়ুতেও। কার্টুনে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর মর্যাদাহানির অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হল তামিলনাড়ুর ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট জি বালাকে।
কার্টুন নিয়ে এবার অম্বিকেশ কাণ্ডের ছায়া তামিলনাড়ুতেও। কার্টুনে মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর মর্যাদাহানির অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হল তামিলনাড়ুর ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট জি বালাকে।
সম্প্রতি
তিরুনেলভেলির
জেলাশাসকের
দফতরের
সামনে
গায়ে
কেরোসিন
দিয়ে
আত্মহত্যা
করেছিলেন
ঋণে
জর্জরিত
কৃষক
দম্পতি।
সেই
ঘটনার
প্রতিবাদেই
কার্টুন
এঁকেছিলেন
জি
বালা।
কার্টুনে
মুখ্যমন্ত্রী
ছাড়াও
পুলিশ
কমিশনার
এবং
তিরুনেলভেলির
জেলাশাসককে
কার্টুনের
মাধ্যমে
প্রকাশ
করেন
জি
বালা
ওরফে
বালাকৃষ্ণান।
কার্টুনে
দেখা
যাচ্ছে
একজন
আগুনে
পুড়ছেন।
দাঁড়িছে
দেখছেন,
মুখ্যমন্ত্রী,
জেলাশাসক
এবং
পুলিশ
কমিশনার।
কিন্তু
পুড়তে
থাকা
ব্যক্তিকে
রক্ষার
জন্য
কোনও
চেষ্টাই
তাঁরা
করছেন
না।
তবে
সেই
কার্টুনে
মুখ্যমন্ত্রী,
জেলাশাসক
এবং
পুলিশ
কমিশনার,
কারও
গায়েই
বস্ত্র
নেই।
টাকা
দিয়েই
তারা
লজ্জা
ঢাকছেন।
২৬ অক্টোবর ওয়েবসাইটে কার্টুনটি আপলোড করা হয়। ৪০ হাজার বারের ওপর কার্টুনটি শেয়ার করা হয়। অস্বস্তিতে পড়ে তিরুনেলভেলির জেলাশাসক রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানান। তিরুনেলভেলির জেলাশাসক সন্দীপ নান্দুরিই জি বালার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে মানহানিতে অভিযুক্ত করে চেন্নাই থেকে রবিবার জি বালাকে গ্রেফতার করে তিরুনেলভেলির পুলিশ। পরে অবশ্য জামিন পান তিনি।
যদিও এর পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি কার্টুনও নিজের সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেছেন জি বালা।
ঋণ নিয়ে বারবার হয়রানি অভিযোগ করেও নিস্তার পাননি তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলির শ্রমিক ইসাকিমুথু। তিরুনেলভেলির জেলাশাসকের দফতরের সামনেই ২৩ অক্টোবর পরিবারের সঙ্গে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শ্রমিক। গায়ে আগুন লাগানো ওই শ্রমিক ইসাকিমুথু এবং তাঁর স্ত্রী সুব্বুলক্ষ্মী এবং ছোট দুই কন্যা মাথি সারণ্যা এবং অক্ষয়া ভারানিথাকে তিরুনেলভেলি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্ত্রী ও দুই কন্যা প্রথমে মারা যায়। পরে মারা যান ইসাকিমুথু। এই ঘটনার প্রতিবাদেই কার্টুন এঁকেছিলেন জি বালা।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিলের অপর একটি ঘটনা। ওইদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী, মুকুল রায় এবং দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে তৈরি ব্যঙ্গচিত্র ফরোয়ার্ড করার অভিযোগ তুলেছিল পুলিশ। নির্বাচিত সরকার সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। এপ্রসঙ্গে বালুরঘাটের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মাধ্যমেই এই ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অম্বিকেশ মহাপাত্র।