উচ্চবিত্ত তপশিলিদের সংরক্ষণের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল কেন্দ্রের
তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের একটি অংশ স্বচ্ছ্বল হলেও তাদের সরকারি সংরক্ষণের আওতা থেকে বের করা অনুচিত হবে বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র।
তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের একটি অংশ স্বচ্ছ্বল হলেও তাদের সরকারি সংরক্ষণের আওতা থেকে বের করা অনুচিত হবে। কারণ এখনও তাঁরা উপজাতিভুক্ত মানুষ হিসাবে সমাজে পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধি হিসাবে ক্ষত বয়ে নিয়ে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এই মতামত রেখেছে কেন্দ্র সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের প্যানেল, যার শীর্ষে রয়েছেন মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র, তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে কেন্দ্রের তরফে তিনি বলেছেন, উচ্চবিত্ত তপশিলিরা চাইলে নিজেরা সেই সুযোগ সুবিধা নাও নিতে পারেন। তবে তাদের সরকারিভাবে বঞ্চিত করা যাবে না।
আদালতে বেনুগোপাল এও বলেছেন যে, তপশিলিভুক্তদের একটি শ্রেণিকে সংরক্ষণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আদালতের বিষয়ভুক্ত নয়।
কেন তপশিলিদের উচ্চবিত্ত শ্রেণিকে বাদ রাখা যায় না, সেই প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখনও উচ্চবিত্ত তপশিলিকে নিজের জাতেই বিয়ে করতে হয়। উঁচু জাতের সঙ্গে তাদের বিয়ে হয় না। কেউ বিত্তবান হয়ে গেলেও জাতপাতের বিষয়টি ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেন না। সমাজের তাদের নিচু স্থানেই থাকতে হয়।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার মহিলাদের মেডিক্যাল টেস্টে নয়া বিধি, চিকিৎসকদের জানাল কেন্দ্র ]
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চে মুখ্য বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন ক্যুরিয়েন জোসেফ, আরএফ নরিম্যান, সঞ্জয় কিষণ কউল ও ইন্দু মালহোত্রা। ১২ বছর পুরনো এক রায়ের প্রেক্ষিতে ফের একবার উচ্চবিত্ত তপশিলিদের সংরক্ষণ নিয়ে আদালত বিচারে বসেছে।