মহারাষ্ট্র সরকারে বড়সড় ফাটল! এনসিপি 'স্ট্রংম্যান' শরদ পাওয়ারের 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' শুরু
সবেমাত্র ৩ মাসও পার হতে পারেনি মহারাষ্ট্রে শিবসেনা- কংগ্রেস- এনসিপি জোটের সরকার। বিজেপির হাত ছাড়িয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে ও শরদের নেতৃত্বাধীন এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক সংসার শুরু করেছে শিবসেনা। এমন এক পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণে যে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা , তার আগেই মহারাষ্ট্রে বড়সড় সংকটের মেঘ দেখা দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকারে।
এনসিপি-শিবসেনা সংকট
মূল প্রসঙ্গ দুটি, একটি হল এনগার পরিষদ ঘিরে তদন্ত, আর অন্যটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের এনপিআর লাগু করা মহারাষ্ট্রে। এই দুটি বিষয়ে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদক্ষেপ নিতেই এনসিপির সঙ্গ সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েঠে ঠাকরের নেতৃত্বাধীন পার্টির। আর সেই ঘটনা ঘিরেই মহারাষ্ট্রে আজ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি মন্ত্রীদের হাইভোল্টেজ বৈঠক।
কেন সমস্যা দেখা দিচ্ছে?
এলগার পরিষদ তদন্ত মূলত মহারাষ্ট্রে ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনার হিংসা ঘিরে তদন্ত। যা পুনে পুলিশের হাত থেকে নিয়ে এনআইএ-কে দিতে চলেছে বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার। আর এতেই বাধ সেধেছে এনসিপি। অন্যদিকে রয়েছে এনপিআর। যা নিয়ে গোটা দেশে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরোধিতা করছে। এমন এক পদক্ষেপ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ এনসিপি। আর শিবসেনা সরকার তা মহারাষ্ট্রে লাগু করতে চলেছে আগামী ১ মে থেকে।
মারাঠা 'স্ট্রংম্যান' ও রাজনৈতিক সমীকরণ
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে শরদ পাওয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। যখন সরকারে ফাটল স্পষ্ট, তখন তিনি ময়দানে নেমে পরিস্থিতি সামলে নেবেন বলে ধারণা অনেকের। কারণ, এই সরকার গঠনের শুরুতেও একাধিক নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা যায়, শরদের নিজের ভাইপো অজিত শরদ শিবির ছেড়ে বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গেস জোট বেঁধে প্রথমে সরকার গড়ার পথে এগিয়ে যান। শপথ পাঠ করে ফেলেন উপ মুখ্যমন্ত্রিত্বের। এরপর , আরও নাটকীয় ঘরানায়, ফের তিনি 'পাওয়ার'শিবিরে ফিরে নতুন সরকারে যোগ দেন। এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক দোলাচল নির্ভর করছে শরদের এই বৈঠকের উপর।