দেশ জুড়ে PFI-এর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত! হিংসাত্মক বিক্ষোভের অভিযোগে ৭ রাজ্যে আটক বহু
দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার অফিসগুলিতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সাতটি রাজ্যে নতুন করে অভিযান চালায় এনআইএর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজর
দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার অফিসগুলিতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সাতটি রাজ্যে নতুন করে অভিযান চালায় এনআইএর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, অসম, কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র। গোয়েন্দা সূত্রে খবর অনুযায়ী, এনআইএ-র তল্লাশিতে পিএফআই সদস্যরা হিংসার আশ্রয় নিতে পারে এই সতর্কবার্তার বলে অভিযানে প্রচুর সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সাত রাজ্যের ২০০-র বেশি জায়গায় অভিযান
এদিন সকাল ছটা থেকে সাত রাজ্যের অন্তত ২০০ টি জায়গায় অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৭০ জনের বেশি পিএফআই ক্যাডারকে। গোয়েন্দা সূত্রে সতর্ক করে আগেই বলা হয়েছে, পিএফআই সরকারি সংস্থা ছাড়াও বিজেপি ও আরএসএস নেতা ও তাদের সংগঠনকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে সাধারণ মানুষের শান্তি নষ্ট করার জন্য গুরুতর ও অশুভ উপায় পরিকল্পনা করেছে পিএফআই। দিল্লির তিহার জেরে তাদের সিনিয়র নেতারা বন্দি হওয়ার পর থেকেই দলের একাংশ বিচলিত হয়ে পড়েছে।
হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে
গোয়েন্দাজের
পাঠানো
নোটে
বলা
হয়েছে,
পিএফআই
ক্যাডাররা
সরকারের
বিরুদ্ধে
হিংসার
আশ্রয়
নিয়ে
প্রতিশোধ
নিতে
চাইছে।
তাদের
তরফে
বেশ
কিছু
ব্যক্তিকে
আলাদা
করে
দায়িত্ব
দেওয়ার
কথাও
গোয়েন্দাদের
তরফে
বলা
হয়েছে।
যাদেরকে
ফিঁদায়ে
বাহিনীর
সঙ্গে
তুলনা
করা
হয়েছে।
এছাড়াও
পিএফআই
পরিস্থিতির
সাম্প্রদায়িকরণ
করে,
হিন্দু
সংগঠন
ও
নেতাদের
প্রতি
মানুষের
মধ্যে
ঘৃণার
পরিস্থিতি
তৈরি
করতে
চাইছে।
এদের
হামলার
পরিকল্পনার
কথা
দলের
নেতা
ছাড়া
অন্য
কেউ
বিস্তারিত
জানে
না।
লক্ষ্য বিজেপি ও আরএসএস নেতারা
সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পিএফআই-এর তরফে বিজেপির শীর্ষ নেতা ও আরএসএস কর্মীদের নিশানা করা হয়েছে। যে কারণে নির্দিষ্ট কিছু নেতার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কিংবা নিরাপত্তার প্রোটোকলের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অতীতে কেরলে বিজেপি ও আরএসএস কর্মীদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে। যদিও পিএফআই-এর তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
|
দক্ষিণেই পিএফআই-এর কর্মকাণ্ড বেশি
২০০৬ সালে কেরলে পিএফআই-এর প্রতিষ্ঠা হয়। , প্রথমে তারা সামাজিক আব্দোলনের জন্য সংগ্রাম করার কথা বলেছিল। তবে এরা সামনে আসে সিমির ওপরে নিষেধাজ্ঞা বহালের পরে। সাম্প্রতিক সময়ে পিএফআই কর্নাটকে হিজাব মামলা, হাতরাসে ধর্ষণ ও খুনের মামলা, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিহারের ফুলওয়ারি শরিফে সন্ত্রাসী মডিউল শনাক্তকরণ এবং ২০৪৭ নাগাদ ভারতকে ইসলামি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রকাশের পরেই শিরোনামে চলে আসে পিএফআই। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনে নামে এনআইএ।
নাসার মিশন ডার্ট পরীক্ষা সফল! মহাকাশযানের পাল্টাল গ্রহাণুর গতিপথ