শাসক শিবিরে থাবা বসাল বিজেপি, নির্বাচনের আগে দলবদল ১৬৩৫ কর্মীর
শাসক শিবিরের দেড় হাজারেরও বেশি কর্মী ভোটের ১৫ দিন আগেই শিবির বদল করায় বাম নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। শাসক শিবিরের দেড় হাজারেরও বেশি কর্মী ভোটের ১৫ দিন আগেই শিবির বদল করায় বাম নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এদিন ঘটনা করে ১৬৩৫ জন যোগ দেন বিজেপিতে। আর এই ভাঙনের ঘটনা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রটি দীর্ঘদিনের বামদুর্গ বলেই পরিচিত। এমন বাম দুর্গে বিজেপি থাবা বসানোয় ঘোর বিপাকে মানিক সরকার অ্যান্ড কোং।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখানে জোর টক্কর দিতে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানিরা আসছেন। ২৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটানোই এবার বিজেপির লক্ষ্য। এমতাবস্থায় বিরোধী কংগ্রেস ও তৃণমূল শিবিরের সিংহভাগ যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শাসক শিবিরের একাংশেও ভাঙন স্পষ্ট। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা ভোটের আগে স্বস্তিতে নেই সিপিএম তথা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
পশ্চিম ত্রিপুরার মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্র সিপিএমের দুর্গ। সেই লালদুর্গের ৩৫১টি বাম মনোভাবাপন্ন পরিবারের গেরুয়া শিবিরে নিয়ে এসে সিপিএমকে জোর ধাক্কা দেওয়া গিয়েছে বলেই মনে করছে বিজেপি। ওই ৩৫১টি পরিবারের ১৬৩৫ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুধু সিপিএম নয়, আইএনপিটি-র সদস্যরাও বিজেপির ছত্রছায়ায় আসছে লাইন দিয়ে।
একটি দলীয় অনুষ্ঠানে ১৬৩৫ জন সদস্যের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন প্রদেশ সভাপতি বিপ্লবকুমার দত্ত। দীর্ঘদিনের সিপিএমের এই কর্মী-সদস্যরা শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপিতে যোগ দান করেন। এই যোগদানে স্বস্তি ফিরলেও, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে বিজেপিতে। দলের প্রাক্তন সভাপতি পদত্যাগ করেছেন প্রার্থী তালিকার ক্ষোভ প্রকাশ করে। তার আগে এক প্রার্থীও বিজেপির টিকিটে লড়তে অস্বীকার করেন।