বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতায় জট, ত্রিপুরায় নমনীয় সিপিএম অপেক্ষায় টিপ্রার জন্যও
বিধানসভা এলাকায় শক্তির বিচারে আসন বণ্টন করাই শ্রেয়। শক্তির বাইরে গিয়ে দাবি করলে সব দিকেরই সমস্যা।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মোকাবিলায় বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়ার ব্যাপারে সম্মত হলেও এখনও আসন সমঝোতা করতে পারল না। আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহতই রয়েছে। সিপিএম তাদের ভাগ থেকে যে সংখ্যক আসন ছাড়তে চাইছে, কংগ্রেস তাতে রাজি নয়।
কংগ্রেস ত্রিপুরায় আরও বেশিসংখ্যক আসন চাইছে। সিপিএম অবশ্য জোটের ব্যাপারে নমনীয়। তাই তারা তড়িঘড়ি প্রার্থী ঘোষণা না করে স্থগিত রেখেছে। সিপিএম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেও ঘোষণা করেনি কংগ্রেসের দাবি মেনেই। তারা চাইছে বুধবারের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করে বৃহস্পতিবারই প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে।
বামফ্রন্টের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছিল বড় শরিক সিপিএম তাদের ভাগ থেকে কংগ্রেসকে আসন ছাড়বে। সেইমতো ১০টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয় সিপিএম। বাম শরিকদের যথারীতি একটি করে আসন দিয়ে সিপিএম বাকি আসনে প্রার্থী দিতে মনস্থ করেছিল। এমনকী তারা টিপ্রামোথার জন্যও শেষপর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি।
কংগ্রেস আরও চার-পাঁচটি আসনের দাবি করেছে। সিপিএম তা নিয়েই আলোচনার পথে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি নমা হওয়া পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করা যাচ্ছে না। আর জোটও চূড়ান্ত তা বলা যাচ্ছে না। বিজেপির বিরুদ্দে এবার এককাট্টা হয়ে লড়তে গিয়ে এখানে সমঝোতা করে চলার পথ বেছে নেন কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নমনীয় হয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা বলেছেন। সেই কারণেই তিন বাম শরিককে একটি করে আসন ছাড়ার পর নিজেদের ভাগ থেকে ১০টি আসন কংগ্রেসকে দিয়েছথে সিপিএম। এখন আরও চার-পাঁচটি আসনের দাবি তাঁরা মেনে নিলেও নিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন।
যদিও এর মধ্যে দাবি উঠে পড়েছে, বিধানসভা এলাকায় শক্তির বিচারে আসন বণ্টন করাই শ্রেয়। শক্তির বাইরে গিয়ে দাবি করলে সব দিকেরই সমস্যা। তবু আমরা চেষ্টা করছি কংগ্রেসের দাবি মেনে সম্মিলিতভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সঙ্ঘবদ্ধ করতে। আমরা সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই দিতে চাই বলেই টিপ্রামোথার জন্য অপেক্ষা করছি।
টিপ্রামোথাকে চড়তে হবে উপজাতি এলাকায় আসান ছাড়তে হবে। তার বাইরে টিপ্রামোথা লড়বে না। জনজাতি মানুষের আবেগকে সম্মান দিয়েই এবার টিপ্রামোথা ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামছে। এবং তারা যে ত্রিপুরায় কিং-মেকার হয়ে উঠতে পারে এবারের নির্বাচনে, তাও সুস্পষ্ট।