জোটের দরজা খুলে ইয়েচুরিতে সায় কারাতের, ভোটাভুটি এড়িয়ে ভাঙন ঠেকাল সিপিএম
ভোটের বাদ্যি থামিয়ে সমঝোতার পথ নিল সিপিএম। ফলে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় ভাঙন ঠেকাল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি।
ভোটের বাদ্যি থামিয়ে সমঝোতার পথ নিল সিপিএম। ফলে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় ভাঙন ঠেকাল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ রুখতে প্রকাশ কারাত সায় দিলেন সীতারাম ইয়েচুরিতেই। ১৫ রাজ্যের নেতৃত্ব বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কারাত লবির বিরুদ্ধে। সেই বিক্ষোভের আঁচ থেকে সিপিএমের ভাঙন ঠেকাতে ইয়েচুরির সঙ্গে সখ্যতার রাস্তাতেই হাঁটতে হল কারাতকে।
সিপিএমে কারাত-রাজ অবসান হলেও তাঁর লবিই সংখ্যাগুরু ছিল। ফলে সীতারাম ইয়েচুরি দলের সাধারণ সম্পাদক হলেও, কারাত লবির কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হতেন। এবার কিন্তু অন্য ছবি দেখাল হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির মতো শক্তিকে হটাতে কংগ্রেসের হাত ধরার পথ খুলে গেল। সীতারাম ইয়েচুরির মতই মান্যতা পেল অবশেষে।
কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি শিবির ভোটাভুটিতে হেরেছিলেন। এবার তিনি চাইছেন পার্টি কংগ্রেসে ভোটাভুটি হোক গোপন ব্যালটে। তিনি নিশ্চিত সেই ভোট গোপন ব্যালটে হলে, রায় তাঁর দিকেই যাবে। অভিযোগ, অনেকেই প্রকাশ কারাত ও পিনারাই বিজয়নদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিরুদ্ধে হাত তুলতে পারেনি। এবার ১৫টি রাজ্য সীতারামের সমর্থনে আওয়াজ তোলে। তারপরই হাওয়া বদলে যায়।
একদিনের মধ্যেই মস্ত চাল দিয়ে সীতরাম ইয়েচুরি বুঝিয়ে দিলেন তিনিও রাজনীতিটা বোঝেন। কেন তাঁকে রাহুল গান্ধীর মতো নেতা রাজ্যসভায় আনতে তৎপর হয়েছিলেন সেটা বুঝিয়ে দিলেন সীতারাম। দলের বাইরো হোক বা অন্দরে, সিপিএমে তিনিই শেষ হাসি হাসলেন। তাঁর এই সাফল্যে বঙ্গ সিপিএমের মুখেও হাতি ফুটল।