তৃণমূল ত্রিপুরায় এসেছে বিজেপিকে সাহায্য করতে, এবার নিশানা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
কংগ্রেসকে ভেঙে, সিপিএমকে ভেঙে ওরা বিজেপির জয়ের পথ সুগম করছে। যেমন ওরা করেছিল গোয়ায়, সেই একই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরাতেও।
গোয়ায় কংগ্রেস যে অভিযোগ করেছিল, ত্রিপুরায় সেই অভিযোগ করছে সিপিএম। গোয়ার নির্বাচনে তৃণমূল প্রকারান্তরে বিজেপিকে সহায়তা করতেই গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। এমনকী ত্রিপুরা, মেঘালয়ে নিয়েও একই অভিযোগ ছিল তাদের। এবার সিপিএমও একই সুরে গান গাইল।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সরব হলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরায় তৃণমূল যে বিরোধীদের ভোট কাটা ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না তা নিশ্চিত তিনি। তৃণমূল এখানে বিরোধীদের ভেঙে বিজেপিকে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন মানিকবাবু।
মানিক সরকারের দাবি, বিজেপিকে সাহায্য করতে তৃণমূল পা রেখেছে ত্রিপুরায়। কংগ্রেসকে ভেঙে, সিপিএমকে ভেঙে ওরা বিজেপির জয়ের পথ সুগম করছে। যেমন ওরা করেছিল গোয়ায়, সেই একই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরাতেও। তৃণমূল এভাবেই বিজেপিকে সাহায্য করে যাচ্ছে।
এদিন তিনি একইসঙ্গে জানিয়ে দেন কেন তিনি এবার নির্বাচনে লড়াই করছেন না। মানিকবাবু বলেন, ২০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। সেই ১৯৭৯ সাল থেকে নির্বাচনে লড়ছি। প্রথমে মুখ্য সচেতক, তারপর মুখ্যমন্ত্রী। গত পাঁচ বছর আমি ছিলাম বিরোধী দলনেতা। এবার নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমার আরও বড় দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। ত্রিপুরায় আরএসএসের মতো সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। ত্রিপুরার মানুষ এটা জানে। তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য যে কোনো মূল্যে বিজেপিকে পরাজিত করা।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার গণতন্ত্র আক্রান্ত। মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। ভোট দিতে পারে না মানুষ। সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে একটি দল একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। সংখ্যালঘুরা ভয়ঙ্কর আতঙ্কে রয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার কী হারে বেড়েছে। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য দেখলে প্রকৃত ছবিটা বোঝা যাবে না।
এই অবস্থায় আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হতে চেয়েছি। তাই ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির রাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম আমরা। কংগ্রেস সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট নয়, আসন সমঝোতা হয়েছে। কিছু সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। আমরা সেটা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা টিপ্রামোথাকেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সাড়া পায়নি। তবে আমার ধারণা টিপ্রামোথা খুব একটা সমস্যা করবে না। ওরা ৩০টি আসনে বড়জোড় প্রার্থী দেবে।
তৃণমূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলও বিজেপির মতো গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। ওদের মন্ত্রীরা জেলে রয়েছেন। ওরা দুর্নীতিতে জর্জরিত। আর এই অবস্থায় এখন তারা ত্রিপুরায় আসছে। কিন্তু মনে রাখবেন, ত্রিপুরার মানুষ বোকা নয়। মানুষই বলছে তৃণমূল এখানে বিজেপিকে সাহায্য করবে। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করাই এদের উদ্দেশ্য।