সিপিএম সাংসদকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব, বিতর্কে জড়ালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত
রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার সিপিএম সাংসদ ঝর্না দাস বৈদ্য।
রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দরবারে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার সিপিএম সাংসদ ঝর্না দাস বৈদ্য। সেখানেই রাজ্যসভার ওই সাংসদকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দেন অমিত শাহ। পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিজেপি সভাপতির 'ব্যবহারে' উষ্মাপ্রকাশ করলেন সিপিএম সাংসদ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় আলোড়িত ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলও।
অমিত শাহ সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন সাংসদ ঝর্না দাস বৈদ্যকে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পত্রপাঠ এই কথা জানান সাংসদ। তিনি বলেন, এই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। অমিত শাহ এই ঘটনার জন্য তাঁর কছে দুঃখপ্রকাশও করেন।
সিপিএম সাংসদ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি সন্ত্রস্ত করে চলেছে ত্রিপুরায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সেই আবেদনই তিনি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তখনই তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
ঝর্নাদেবী জানান, অমিত শাহ তাঁকে বলেন- ত্রিপুরায় সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই ওই দলে তেকে কোনও লাভ নেই, আপনি দলত্যাগ করে বিজেপিতে আসুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে তিনি বলেন, যতদিন একজনও বামপন্থী থাকবে ততদিন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে জানান, আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাইনি।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ২৭ জুলাই। ৮৫ শতাংশ আসনেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোট করেছে, ঠিক একই কায়দায় ত্রিপুরায় ভোট লুট করছে বিজেপি।