৫৪ বছর পর বহু আকাঙ্খিত জয়লাভ নির্বাচনে! ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন দিশা পেল সিপিএম
কেরল উপনির্বাচনে অ্যাসিড টেস্টে ৫৪ বছর পর পালা বিধানসভা আসনে জিতে ইতিহাস তৈরি করল সিপিএম। সেইসঙ্গে ফিরে পেল ঘুরে দাঁড়ানোরো দিশা।
বাংলা ও ত্রিপুরার ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর বামেদের হাতে ছিল শুধু কেরালা। সেই কেরালাতেও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সিপিএম। তাই এই উপনির্বাচন ছিল সিপিএমের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। এই অ্যাসিড টেস্টে ৫৪ বছর পর পালা বিধানসভা আসনে জিতে ইতিহাস তৈরি করল সিপিএম। সেইসঙ্গে ফিরে পেল ঘুরে দাঁড়ানোরো দিশা।
ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছিল সিপিএম
২০১১ সালে বাংলায় পতন হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের। আর ২০১৮ সালে ত্রিপুরা থেকে বাম সরকারকে বিদায় করে দিয়েছিল বিজেপি। এখন শুধু কেরালায় ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম তথা এলডিএফ। কিন্তু লোকসভা ভোট সেখানেও অশনি সংকেত দিয়েছিল। তারপর থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছিল বাম নেতৃত্ব।
সিপিএমের ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা এই জয়
কেরালার এই পালা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সিপিএমকে ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা দিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউ়িএফ প্রার্থীকে হারিয়ে পালা উপনির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিল বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। এলডিএফ প্রার্থী মণি সি কপ্পান ইউডিএফ প্রার্থী জোসে টমকে হারালেন ২৯৪০ ভোটে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী এন হরি।
কোন পথে এল আশাতীত সাফল্য
এলডিএফের মণি সি কপ্পান পান ৫৪,১৩৭ ভোট, ইউডিএফের জোস টম পান ৫১,১৯৭ ভোট। এনডিএ প্রর্থিী এন হরি ১৮,০৪৪ ভোট পান। মনিরের মৃত্যুতে এই উপনির্বাচন সংঘটিত হয়েছিল। এই কেন্দ্রে ১৯৬৭ সাল থেকে জিতে আসছেন করেল কংগ্রেসের মনির। তাঁর মৃত্যুর পর এই প্রথম এলডিএফের হাতে উঠল পালা কেন্দ্রটি।
হারানো মনোবল ফিরে পেল বামেরা
বামেদের এই জয়ের ফলে এলডিএফ, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ বা বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএর মধ্যে লড়াই আরও তুল্যমূল্য হয়ে উঠল। আগামী ২১ শে অক্টোবর আরও পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই ভোটের আগে কেরলের শাসকপক্ষ আবার খানিকটা হারানো মনোবল ফিরে পেল।
মনিরের মৃত্যুর পরই কামব্যাক সিপিএমের
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার সিপিএম-নেতৃত্বাধীন এলডিএফের কাছে অগ্নিপরীক্ষা ছিল এই উপনির্বাচন। সেখানে জিতে মুখ রক্ষা হল বামেদের। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং কেরালার কংগ্রেস (এম) সুপ্রিমো কে এম মনিরের মৃত্যুর ফলে এই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। কে এম মনির পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এই আসনটি ধরে রেখেছিলেন।