ত্রিপুরায় বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পঞ্চায়েত গঠন সিপিএমের, আজব চিত্র ‘লাল-দুর্গে’
বছর দেড়েক আগে গেরুয়া ঝড়ে ছত্রখান হয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরার লাল-দুর্গ। এবার সেখানেই চিরশত্রু বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত দখল করল সিপিএম।
বছর দেড়েক আগে গেরুয়া ঝড়ে ছত্রখান হয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরার লাল-দুর্গ। এবার সেখানেই চিরশত্রু বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত দখল করল সিপিএম। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই রাজনৈতিক জোট নিয়ে এখন জোর চর্চা রাজ্য জুড়ে। দলের হুইপ অগ্রাহ্য করে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেছে সিপিএম।
জোট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা
ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিজেপির সমর্থন নিয়ে প্রধান হয়েছেন সিপিএমের তাকুম আলি। উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির সিরাজ মিয়া। এই জোট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও তরজা চলছে। পঞ্চায়েত প্রধান পদে বসে সিপিএম সদস্য তাকুম আলি বলেন, দলের কোনও হুইপ তিনি পাননি।
বিজেপির সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত
এদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক বলেন, দলের হুইপ অমান্য করেই বিজেপির সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত গঠন করেছে ওই সদস্যরা। ওঁদের বিরুদ্ধে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে দলের তরফ থেকে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় আমরা পঞ্চায়েত গড়তে চাইনি। কিন্তু চারজন হুইপ না মেনে এই কাজ করেছে। বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার কোনও প্রশ্নই নেই।
সিপিএম-বিজেপিকে নিশানা কংগ্রেসের
এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৩। সিপিএমের ৫, বিজেপির ৫ জন সদস্য, বাকি তিনজন কংগ্রেসের। সিপিএমের চারজন বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে পঞ্চায়েত গঠন করে। সিপিএম-বিজেপিকে নিশানা করে কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস দে বলেন, ওই দুটি দলই হল সুযোগ সন্ধানী। ক্ষমতার মোহে ওরা সবকিছু করতে পারে। তাই চরম ডানপন্থী ও চরম বামপন্থী দুই দল জোট বেঁধেছে।