নীতীশের নয়া সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন সিপিআইএমএলের, স্বাগত-বার্তা দীপঙ্করের
নীতীশের নয়া সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন সিপিআইএমএলের, স্বাগত-বার্তা দীপঙ্করের
বিজেপিকে মাত দিয়ে নতুন সরকার গড়তে চলেছেন নীতীশ কুমার। আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে মহাজোট গড়ে নতুন সরকার গড়ার কথা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বিহারে। এরপর বিজেপিকে একা করে আরও সমর্থন আসছে। এনডিএর সঙ্গে থাকা হাম পার্টিও নীতীশ কুমারকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। আর স্বাগত জানিয়ে সমর্থন বার্তা দিয়েছেন সিপিআইএমএলের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
নীতীশ কুমারকে বাইরে থেকে সমর্থনের বার্তা
সিপিআইএমএল ২০২০-র নির্বাচনে বাম দলগুলির মধ্যে তাক লাগানো ফলাফল করেছে। বামেরা মাত্র ২৯টি আসনে লড়ে ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল। তার মধ্যে সিপিআইএমএল একাই পেয়েছিল ১২টি আসন। বাকি চারটি আসন গিয়েছিল সিপিএম ও সিপিআইয়ের দখলে। ১২ জন বিধায়ক নিয়ে সিপিআইএমএলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য নীতীশ কুমারকে বাইরে থেকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন।
আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে এক হয়ে লড়ার বার্তা
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বরাবরই বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক শক্তিকে এক হয়ে লড়ার বার্তা দিয়ে এসেছেন। এমনকী বাংলাতেও তিনি বামেদের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান ঠিক করতে। কোনওমতেই বিজেপি আর তৃণমূলের সঙ্গে সমান দূরত্ব রেখে এগনো সম্ভব নয়। মানুষ বিভ্রান্ত হবে যে এরা আসলে কাদের বিরুদ্ধে, তা ভেবে!
মন্ত্রিসভায় যোগ না দিলেও পূর্ণ সমর্থন সিপিআইএমএলের
বিহারে সিপিআইএমএল মহাজোটে শামিল হয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পন্থা। এবার নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছাড়তেই তাঁকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। কিন্তু তাঁরা মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন না। মন্ত্রিসভায় না থাকলেও তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা থেকে এই সরকারের পাশে থাকবে।
বিজেপির আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি সারা দেশে যে আগ্রাসী ও ক্ষমতালোলুপ রাজনীতি করছে, তার বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত করা দরকরা ছিল। বিহারের নীতীশ কুমার দেরিতে হলেও তা করেছেন। কয়েকদিন আগে জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, আঞ্চলিক দলগুলির দিন ফুরিয়ে আসছে। অমিত শাহ বলেছিলেন, বিজেপি আগামী ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এটা তারঁ সেই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত।
বিজেপি দেশে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায়
তিনি আরও বলেন, বিজেপি দেশে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। উত্তরপ্রদেশের মতো বিহারকেও বুলডোজার রাজের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। নীতীশ কুমারজি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাঁর সরকারকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা।
কারা থাকবেন মন্ত্রিসভায়, কার দখলে কোন পদ
ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গিয়েছে, বিহারের মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নীতীশ কুমার। অর্থাথ নীতীশ কুমারই বসছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। আর উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তেজস্বী যাদব। জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস ও বামদলগুলিবসে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রিসভায় জেডিইউ ও আরজেডির সঙ্গে থাকবে কংগ্রেসও। আরজেডি বা কংগ্রেসকে অধ্যক্ষের পদ দেওয়া হতে পারে।
রাজনীতির হাওয়া মোরগ নীতীশ! দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭-তে জোট ছেড়ে ফের তেজস্বীর সঙ্গে