চার পূর্বসূরীর পথেই সীতারাম! একনজরে সিপিআইএম-এর ৫৮ বছরের ইতিহাস
চার পূর্বসূরীর পথেই ফের একবার সাধারণ সম্পাদক (general secretary) পদে নির্বাচিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি (sitaram yechury)। এনিয়ে পরপর তিনবার। তবে সিপিআইএম (cpim)-এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এটাই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সীতারাম ইয়েচ
চার পূর্বসূরীর পথেই ফের একবার সাধারণ সম্পাদক (general secretary) পদে নির্বাচিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি (sitaram yechury)। এনিয়ে পরপর তিনবার। তবে সিপিআইএম (cpim)-এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরির শেষবারের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক
সিপিআই-এর-এর গঠনতন্ত্রের ১৫ নম্বর ধারা বলে কোনও ব্যক্তি তিন পূর্ণ মেয়াদের বেশি সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেন না। এখানে পূর্ণ মেয়াদ বলতে দুই পার্টি কংগ্রেসের মধ্যবর্তী সময়ের কথা বলা হয়েছে। তবে সেখানে বিশেষ পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনটি পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ করেছেন, তিনি ফের নির্বাচিত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে অর্থাৎ চতুর্থ মেয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির তিন চতুর্থাংশের সমর্থন জরুরি। তবে কোনও অবস্থাতেই সেই ব্যক্তি চতুর্থ মেয়াদের পরে আর কোনও মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করা যাবে না।
পুচালাপল্লি সুন্দরাইয়া
সিপিআইএম তৈরির পরে প্রথম সাধারণ সম্পাদক। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি গলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হায়দরাবাদের কৃষক বিদ্রোহ তথা তেলেঙ্গানার কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। ১৯৩৪ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। তিনি সর্বভারতীয় কিষাণসভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও।
ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ
কেরলের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ সিপিআইএম-এর দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৮ থেকে তিনি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কলেজে পড়ার সময়ে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি মহাত্মী গান্ধীকে হিন্দু মৌলবাদী বলে বর্ণনা করেছিলেন।
হরকিসান সিং সুরজিত
হরকিসান সিং সুরজিত সিপিআইএম-এর তৃতীয় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৯৯২ থেকে ২০০৫ সাল। ভগত সিং-এর অনুগত হিসেবে গরকিসান সিং সুরজিত নওজওয়ান ভারত সভায় যোগদান করেছিলেন। পঞ্জাব কিসান সভার সহ প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকে বিজেপি বিরোধী জোট ছাড়াও ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের ওপরে বাম সমর্থন তিনি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
প্রকাশ কারাত
প্রকাশ কারাত সিপিআইএম-এর চতুর্থ সাধারণ সম্পাদক। কার্যকালের মেয়াদ ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। যে ইউপিএ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন পূর্বসূরী হরকিসান সিং সুরজিত, তাঁর সময়ে অর্থাৎ ২০০৭ সালে ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তির ইস্যুতে ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সিপিআইএম। এরপর থেকেই সিপিআইএম একের পর এক নির্বাচনে পিছিয়ে যেতে থাকে। আর ২০১১ তে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হয় সিপিআইএম।
সীতারাম ইয়েচুরি
সীতারাম ইয়েচুরি সিপিআইএম-এর পঞ্চম সাধারণ সম্পাদক। ২০১৫ সালে তিনি প্রকাশ কারাতের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে ২০০৫ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পর পর তিনবার দলের পার্টি কংগ্রেসে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত বিজেপি শাসিত গুজরাত-মধ্যপ্রদেশ! ১ জনের মৃত্যু, জারি কার্ফু