‘ফেসবুক-বিজেপি আঁতাতের’ রহস্য উদঘাটনে যৌথ সংসদীয় কমিটির তৈরির ডাক বামেদের
বিজেপির সঙ্গে ফেসবুকের আঁতাতের অভিযোগ রবিবার থেকেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিজেপি নেতাদের হিংসায় উস্কানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুক ইণ্ডিয়ার পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাসের বিরুদ্ধে। এবার এই বিষয়েই সরব হতে দেখা গেল সিপিআই(এম)কে। এই গোটা চক্রের পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে বলেও এদিন সুর চড়ায় বামেরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র পলিটব্যুরো কর্তৃক একটি বিবৃতিও জারি করা হয়। যেখানে ফেসবুকের এই কর্মকামণ্ডের বিরুদ্ধে দ্বার্থ্যহীন ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্রে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ভারতে শাসক দল তথা বিজেপির হিংসায় উস্কানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায় ফেসবুক।
ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনেই দাবি করা হয় জুকারবার্গ অধীনস্থ তিনটি সংস্থা ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামে বিজেপি-আরএসএস কর্তৃক উষ্কানিমূলক কোনও পোস্টের ক্ষেত্রেই নেওয়া হয় না ব্যবস্থা। ব্যবসায়িক লাভের জন্যই ফেসবুক এই কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। এবার এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের জন্য দ্রুত যৌথ সংসদীয় কমিটির তৈরির ডাক দিল বামেরা। এদিকে গতকালই এই ঘটনা প্রসঙ্গে সুর চড়াতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। তাঁর স্পষ্টতই অভিযোদ বিজেপি-আরএসএসই ভারতে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করছে। এই মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যে খবর এবং ঘৃণা ছড়িয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন থেকেই।
চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারতেই তৈরি হচ্ছে মোবাইল হাব? প্রায় ১১ লক্ষ কোটি লগ্নির সম্ভাবনা