সবার কাছে কোউইন পোর্টালের সুবিধা পৌঁছে দিতে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের
কোউইন পোর্টাল (cowin portal) এবার পাওয়া যাবে আঞ্চলিক ভাষাতেও। আগামী সপ্তাহ থেকেই হিন্দি ছাড়াও ১৪ টি স্থানীয় ভাষায় এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষীরা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ
কোউইন পোর্টাল (cowin portal) এবার পাওয়া যাবে আঞ্চলিক ভাষাতেও। আগামী সপ্তাহ থেকেই হিন্দি ছাড়াও ১৪ টি আঞ্চলিক ভাষায় এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষীরা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও সারা দেশে ইনসাকগ নেটওয়ার্কের অধীনে করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ১৭ টি ল্যাব চালু করার কথাও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রিগোষ্ঠীর ২৬ তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহেই আঞ্চলিক ভাষায় কোউইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা যাবে। যে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এছাড়াও ইনসাকগ নেটওয়ার্কের অধীনে নতুন করে ১৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করার কথাও জানানো হয়েছে। বর্তমানে এই নেটওয়ার্কের অধীনে ১০ টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।
কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা
বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৬ দিন পরে প্রথমবারের জন্য দেশে প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা তিনলক্ষের নিচে নেমেছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,০১, ৪৬১ জন কমেছে।
ডিআরডিও-র প্রশংসা
এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রশংসা করেন। সোমবারই দেশে প্রস্তুত প্রথম কোভিডের ওষুধ টুডিজি বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই ওষুধের গবেষণা হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ল্যাবে আর তৈরি করেছে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাব। গত এপ্রিলে ওই ওষুধের জন্য গবেষণা শুরু হয়। আর সম্প্রতি তা শেষ হয়েছে। এরপরেই ডিসিজিআই জরুরি ভিত্তিতে এর অনুমোদন দিয়েছে। এই ওষুধ করোনা নিয়ন্ত্রণে গেম চেঞ্জার হতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনা পরীক্ষায় নীতির পরিবর্তন
দেশব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রাম। যার জেরে করোনা পরীক্ষার নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গব। আধাশহর এবং গ্রাম্য এলাকায় যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বল, সেখানে মাস স্ক্রিনিং-এ ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কাজ করতে গিয়ে মোবাইল আরটিপিসিআর ভ্যান এবং র্যাপি অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই দুই ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ (আরটিপিসিআর ১৩ লক্ষ, র্যাট ১২ লক্ষ) পরীক্ষা করা যায়। যা ৪৫ লক্ষে (আরটিপিসিআর ১৮ লক্ষ, র্যাট ২৭ লক্ষ) পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি মদন-শোভন, সুব্রত ফিরলেন প্রেসিডেন্সিতে