পহলু খানের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ খারিজ করল রাজস্থান হাইকোর্ট
পহলু খানের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ খারিজ করল রাজস্থান হাইকোর্ট
২০১৭ সালে রাজস্থানে গোরক্ষকদের হাতে খুন হতে হয়েছিল দুধ ব্যবসায়ী পহলু খানকে। তবে সেই ঘটনার পর পহলু খানের বিরুদ্ধেই গরু পাচারের অভিযোগ এনে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বুধবার রাজস্থান হাইকোর্ট পহলুর বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ খারিজ করে দিল। ২০১৭–সালের এপ্রিলে জয়পুরের একটি পশুহাট থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন ৫৫ বছরের পহলু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ছেলে আরিফ ও ইরশাদ। আলওয়ারে তাঁদের গাড়ি থামায় গোরক্ষকেরা। গরু পাচারের অভিযোগে চলে বেধড়ক মারধর। অভিযোগ, গরু কেনার রসিদ দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যদিও পুলিশের দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছিল না। ৫৫ বছরের পহলুর দু’দিন পর মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে পহলু খান সেদিন তাঁর দুধ ব্যবসার জন্য গরু কিনে ফিরছিলেন। তিনি গোহত্যা করেননি। পহলু খানের আইনজীবী কপিল গুপ্তা জানান, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি পঙ্কজ ভাণ্ডারি নির্দেশ দেন যে পুরনো এফআইআর বাতিল করে নতুনভাবে গরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হোক। বিচারপতির কথায়, আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে চার্জশিটে। আইনজীবী বলেন, 'হাইকোর্ট জানিয়েছে যে যে গরুগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেগুলি দুধেল ছিল এবং বাছুরগুলির বয়স এক–দু বছর ছিল। তাই এটা দেখেই মনে হচ্ছে যে পহলু খান গরুদের জবাই করার জন্য কেনেননি।’ রাজস্থানে যে সময় বসুন্ধরা রাজের সরকার ছিল সেইসময়ই পহলু খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। এরপর কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার আদালতে আবেদন করে এই ঘটনার পুর্নতদন্তের দাবি করে।
রাজস্থান পুলিশ সেই সময় দু’টি এফআইআর দায়ের করেছিল। প্রথম এফআইআরে আট জনের বিরুদ্ধে পহলুকে মারধরের অভিযোগ আনা হয় এবং দ্বিতীয় এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, জেলাশাসকের বিনা অনুমতিতে পহলু ও তাঁর দুই ছেলে গরু পাচার করছিলেন। তবে ওই আট অভিযুক্তই পরে জামিন পেয়ে যায়। এই ঘটনায় দেশে–বিদেশে সাড়া পড়ে যায়। গোরক্ষকদের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে মুখ খোলে কংগ্রেস–সহ অন্য বিরোধী দল।