ফেব্রুয়ারিতেই দুই থেকে তিন বছরের শিশুদের জন্যে আসছে COVID-19 ভ্যাকসিন! আশার কথা শোনালেন সিরাম কর্তা
করোনা সংক্রমণ রুখতে একটাই ওষুধ দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সরকার। আর তাতেই নয়া মাইলস্টোন তৈরি করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পার করে ফেলেছে। ফলে তা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্
করোনা সংক্রমণ রুখতে একটাই ওষুধ দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া। আর সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সরকার। আর তাতেই নয়া মাইলস্টোন তৈরি করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পার করে ফেলেছে। ফলে তা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আর খুব সময়ের মধ্যেই নয়া এই রেকর্ড হতেই টুইটে ভারতের স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। আর এমন একটা দিনে আরও এক স্বস্তির খবর শোনালেন সিরাম (Serum Institute of India) ইনস্টিটিউটের সিইও (SII, CEO) আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও এখনও বাচ্চাদের জন্যে কোনও ভ্যাকসিন আসেনি। ফলে ছোটদের সংক্রমনের একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে। আর সেদিকে তাকিয়েই এবার স্বস্তির খবর শোনালেন সেরাম কর্তা। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, বাচ্ছদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে Covovax বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক কারণ রয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।
যদিও আগে আদর পুনাওয়ালা জানান, COVID-19 ভ্যাকসিন Covovax-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাসেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে আদর পুনাওয়ালা ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন যে, সেরাম (Serum Institute of India) ইনস্টিটিউট এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে Covishield ভ্যাকসিন তৈরি এবং বিতরণ করতে। আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই পুনাওয়ালা বলেন, আমরা AstraZeneca এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছি।
কিন্তু কোন টিকা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে আর করবে না সে বিষয়ে কোনও ধারণাই ছিল না। তবে একাধিক ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে একাধিক ইস্যু আমরা দেখেছি বলে দাবি সেরাম কর্তার। তবে AstraZeneca-Oxford এর সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন আগেই দেশের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ডিসিজিআই থেকে Covovax ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করতে চলেছে সংস্থাটি৷ নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন এখনও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়নি, শুধু ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ অথরিটি সংস্থার ছাড়পত্র মিলেছে।
শুধুমাত্র গুজরাটের কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ভারতে ১২ বছর এবং তার বেশি বয়সের শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে স্কুলগুলি পুনরায় খোলার সঙ্গেই তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যার ফলে শিশুদের ভ্যাকসিনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷